আমি বৃষ্টি দেখেছি,
যেদিন অবসন্নতা আমায় ক্ষমা করেছিল,
বাসে অগাধ জায়গা ফাঁকা ছিল কোন কারনে
হলুদ বিকেলে যেদিন আমার বেড়াল পাড়া বেড়াতে না বেরিয়ে
আমার কোলে মুখ গুজেছিল অভিমানে
সেদিন আকাশ গলে পড়েছিল আমাদের ঘরের ছাদে
বাগানে, উঠানে, দালানে, মনে।


তারপর বহু আলোকবর্ষ পেরিয়ে ছুটে চললেম,
পেরিয়ে গেলেম পাহাড়, নদী, জল, জঙ্গল
পেরোলেম গ্রাম, বন্দর, মাঠ-প্রান্তর,
নিলীমা-শ্যামলীমার ছোঁয়া,রাগ অভিমান, শহুরে ক্লান্তি, রাতের মায়া
ছুটে চললেম, সঙ্গে গেল আকাঙ্ক্ষা, উচ্চাশা, গর্ব
পাড়ি দিলাম দুরান্তের গ্রহে, কুহকের আড়ালে থাকা অনন্তের সন্ধানে
অশ্রান্ত ছুটে চলা চললো, গন্তব্যহীনতার অসহায়তা থাকলো উপেক্ষায়
ছুটতে ছুটতে ধ্বসে গেল যত্নে তৈরি করা বিশ্বাসের অট্টালিকা
খুলে গেল মার্জিত রুচির খোল নলচে,
আদিমতার কাছে উন্মোচিত হল বর্বর সভ্যতার নগ্নতা।


তারপর, একদিন আবার সন্ধে নামলো, শহরে
আঁধার করে,
হলদে আলোয় আচ্ছন্ন চারিদিকে,
আবার আমার সোনার আকাশ ডুকরে উঠলো,
ভালবাসলাম আবার


অবগুণ্ঠনে যাকে আড়ালে রাখলে চিরকাল
আগলে রাখলে, জয়ের আকাঙ্ক্ষায়
ভালবাসায় পরাভূত করলাম, ইতিহাসে, বারবার।