সেদিন সালামের স্তব্ধতা কেউই দেখেনি
অ আ ধ্বনি আর বুদবুদের শব্দ কেউই তো শোনেনি।
রাজপথ লাল করা রক্তস্রোত, পিছঢালায় থেথলানো দক্ষিণা উরু
বক্ষ ছিরে খাওয়া একটি বুলেট, পাটকেল ভরতি গলির মুখ।
শুনশান নীরবতায় বিদীর্ণ রক্তিম দেহগুলি
কেউই দেখেনি! আমিই দেখেছিলেম।


বরকতের মরুময় পিপাসায় সেদিন কেউই
একফোঁটা জলও তো দেয়নি!
রফিকের যন্ত্রণাদীপ্ত গর্জন শুনেও কেউই ছুটে আসেনি।
বরকতেরা সেদিন বাঁচবার জিকিরে লিপ্ত ছিলো
শফিকের বলা হয়নি একটি শব্দও।
জব্বারের হয়নি ফেরা, অভাগা মায়ের বুকে
নিতে পারেনি স্বাধীন শব্দ বাংলা মায়ের সুখে।


সালাম শুনো! সেদিন আমি এসেছিলাম!
এসেছিলাম বলেই বাঙ্গালী লিখছে আজ, পড়ছে আজ
বলছে আজ -অজস্র, অব্যাক্ত, গচ্ছিত আর্তনাদ।
আমি আর কেউই নই ‘বিদীর্ণ বর্ণমালা’।