দু’মাস অন্তর পালাক্রমে বদল হয় ঋতুর,
মনোহরী রঙ আর রুপে প্রকৃতি ভরপুর!
পুষ্পপত্রে শোভিত রঙের বর্ণিল ছটায়,
সবুজ প্রান্তর, মেঠোপথ আর বৃক্ষলতায়।


গ্রীষ্মের তাপদগ্ধতায় প্রাণিকুল সর্বত্র অস্থির,
অগ্নিঝরা রোদ্দুর মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির।
সমারোহ বাংলায় মধু মাসের রসালো ফল,
ঘাম ঝরা দুপুরে ঝড়ো হাওয়ায় নামে ঢল।


নবযৌবনে আবির্ভাব বর্ষার, ঝরে অঝোর ধারায়
ডোবা-নালা একাকার জলে কর্দমপথ পাড়ায় পাড়ায়।
সতেজ প্রাণে প্রকৃতির শ্যামলিমায় আসে বরষা,
নব অঙ্কুরের দল উথলিয়ে উঠে সরসা।


শরৎরানি মিষ্টি হাসে! শিউলী ঝরা ভোরে
মেঘের ভেলা উর্মির ন্যায় নীল গগনে উড়ে।
সবুজ-শ্যামল তরুলতা রুপালী হয় রাতে!
শিশির কণা ঘাসে ঝলমল শরৎ প্রভাতে।


কুয়াশার আবরনে ঘোমটা মাথায় বধুর বেশ!
সোনা বরণ ফসল মাঠে হয় হেমন্তের প্রবেশ।
পাড়ায় পাড়ায় নবান্ন উৎসব, কৃষাণ-কৃষাণী হাসে
গরীব-দুঃখীর অভাব ঘুচে সুখের নীড়ে ভাসে।


পত্রঝরা বৃক্ষশাখে ঝরে শিশির বৃষ্টি,
হাড় কাঁপানো হিমেল বায়ে শীত ঋতুর সৃষ্টি।
পাটিসপটা-ভাপা-পুলি গাঁয়ের নকশি পিঠা,
রোদ পোহাতে রসের পিঠা খেতে বেজায় মিঠা।


পুষ্পমাল্য গলায় হাসে রুপে রমণীয়!
মাতোয়ারা কোকিল কন্ঠ সুরে মোহনীয়।
প্রেমনৃত্য হৃদয় কোণে রঙিন স্বপ্ন-সুখ!
ঋতু রাজের আগমনে হাসে সকল মুখ।