রক্তের বাধন ছিন্ন হয়েছে
এই জীবনের কালে
ঠাই হলোনা একটু খানি
মাঠে ঘাটে খালে বিলে ।
ছুড়ে ফেলেছে বাহুর জোড়ে
হয়ে গেলাম আজ বর্জ্য
সংসার জীবন থেকে আমি
হয়ে গেলাম আজ তাজ্য ।
প্রলাপ বকেছে কঠোর বাক্যে
করিয়া চিৎকার
আঘাতে আঘাতে জর্জরিত হলেম
সাথে হলেম বহিষ্কার ।
কুড়ো ঘরে ও ঠাই হলোনা
এ ভুবনের তরে
সুধাই আজ আপনারে আমি
ঠাই হবে কি তিন হাত ঘরে ।
অনেক খেয়ে অনেক পড়ে
হয়েছি অনেক ঋন
কি ভাবে আমি শোধ করিবো
লাগবে কত আর দিন ।
ঋনের বোঝা ভারী অনেক
সইতে পারি না আর
ফাটিয়া যায় বুকটা আমার
করিয়া চিৎকার ।
পিঞ্জর আমার মুচড়ে গিয়েছে
বাহুতে ও নাই বল
চক্ষু দুটি বিলাপ করে
গড়ায় স্রোত জল ।
শূন্য জীবন নিয়ে আজ
বেড়িয়েছি আজ পথে
সকল সাধ ভাসিয়া গেল
কালো নিষ্ঠর স্রোতে ।
ক্ষমা করো সবে এই ভুবনের
আছ লোকজন যত
পরপাড়ে যেন দ্রত যাই
দোয়া করো অবিরত ।