তুমি জায়া জননী ভামিনী কামিনী
তুমি মমতার প্রতিচ্ছবি
তুমি ধাত্রী মাতৃ, পাত্রের পাত্রী
বিশ্ব আলোকিত রবি।
তুমি শান্তি নিবারন অশান্তি বাহন
ছাই চাপা তুষের আগুন
তুমি ক্লান্ত শরীলে ঘর্ম গড়িলে
হয়ে উঠো সেবাপরায়ণ।
তুমি শৌশবে কোলে তুলে নেওয়া
শিশুসুলভ মনোভাব
তুমি কারো দুখে দূঃখ দেখিয়ে
লুকিয়ে করো বিলাপ।
তুমি হিংসা পরায়ন করেছে দাহন
অতৃপ্ত জাগে মনে
তুমি ক্ষুদ্রটাকে বৃহৎ করে
বিবাদ করো সর্বক্ষনে।
তুমি প্যাচাও যত জিলাপির মত
পেটে যত নারী ভুড়ি
তুমি কারো আনন্দে বেদনারত
হওনা যতই  বুড়ি।
তুমি পশ্চিম গগনে সন্ধা গগনে
কাল বৈশাখীর মেঘ
তুমি ঘূর্ণিপাকে জীবন টাকে
ভেঙ্গে ফেল সকল আবেগ।
তুমি মেঘের গর্জনে প্রবল বর্ষনে
আকাশ ফাটানো ঠাটা
তুমি পদ্মার জলের নিরিহ মৎসে
তাজা শিং মাছের কাঁটা।
তুমি ইনিয়ে বিনিয়ে স্বপ্ন বুনিয়ে
অন্তরে দেখাও সুখ
তুমি পঞ্চ রুপ অগ্নি কূপ
ছলনা দুই চোখে।
তুমি কাল নাগিনীর বিষাক্ত ফনি
সীমারের ন্যায় পাষাণ
তুমি পুড়িয়া করো ভস্মিত সবই
জীবন করো মহা শ্মশান।