সীমান্ত রেখার এপার দাঁড়িয়ে,
তোমার ওশ্রুময় চিবুকটাকে স্পর্শ করতে পারিনি!
মুছিয়ে দিতে পারিনি তার কাঁটার উপর পড়া
তোমার ফোঁটা-ফোঁটা চোখের জলঃ
আমার কঠিন বুকে শেষ  বারের মতো রাখতে পারনি মাথা:
সীমান্তরেখা কেন উত্তর দেয়ণা কেউ!
তোমাকে-আমাকে সীমান্তরেখা শুধু পৃথক কোরে দেয়:
বুকের কস্টো সীমান্তরেখা বোঝেণা!
জোঁয়ার ভাঁটা তোমার শ্বাষ বায়ুর কোণও ভূখণ্ড ণেই।
আমার পিঞ্জরে,আমার চিন্তায়,আমার যৌবনে সীমান্তরেখা টেনে দাও।
সীমান্তরেখা টেনে দাও আমার শ্বাষ ও বায়ু,
আমার স্বপ্ন আমার প্রেমে......
আমার বুকের ভীতর যে ভূখণ্ড আছে
সেখানে হলূদকমা দিয়ে তুমি অন্য দেশে,
আমার থেকে দূরে বহু দুরেঃ
তোমার মতো আমিও কাঁদতে পারি,
কিন্তু হলুদকমা শেখায়,
বিরহের কোনও সিমানা নেই,ভালবাসার কোনও ভূখণ্ড নেই।
প্রতিখ্যার কোনও সিমান্তরেখা নেই।
তাই আমি বিরহিত,ভালবাসি, প্রতিখ্যায় থাকি
কোনও একদিন যদি বিপ্লব আসে,
কোনও একদিন যদি মোনালিসার মতো আবিষ্কৃত হয়
নোতুন-নোতুন প্রজন্মের বিপ্লব....
নোতুন-নোতুন প্রজন্মের মিছিল.
যদি কোনও এক দিন মহেঞ্জদারো,মেসোপটিমিয়া
হারপ্পা,নালান্দার মতো আবিস্কৃত হয়,
পৃথিবী এক ভুখন্ড এক দেশ এক মাটি,
যে ভুখন্ডে থাকবেনা কোনও হলুদকমা,
বন্দি বর্ণমালা,সীমান্তরেখা।
কেউ কাঁটাতারের এপার দাড়িয়ে ফেলবেনা চোখের জল
শেষ বারের মতো আশ্রয় পেতে হলুদকমাকে ভুলে যাব।
ভুলে যাব আমার ভিটে মাটির যুদ্ধে পোড়া গন্ধ!
ভুলে যাব একাত্তরের হাড়-গোড়,
সাতচল্লিশের সীমান্তরেখা:
ভুলে যাব তোমার ছেড়া ওড়না বিবস্ত্র শরীর!
আগুনে বাতাসে,কোটি অশ্রুধোয়া জলীয়বাষ্প!
তোমার তাল পাতা পাণ্ডুলিপি,কালির দোয়াত,
তোমার স্লেট মোছা অশ্রুসিক্ত ছেড়া কাপড়,বেত কলম,
পার করে আনতে পারিনি হলুদকমা!
আমি শুনেছি নি:শ্বাসে-প্রঃশাসে বাতাসে,
বিপ্লব একদিন আসবে,আসবেই
কোটি যৌবনের বিপ্লব হলুদকমাকে ভাংবেই!