হায়রে আমার জনমদুখি দেশ,হায়রে আমার জনম দুঃখি প্রজা,
তোর কোলেতে মাথা রেখে,তোর পাতেরই অন্যখেয়ে বড়ো হল রাজা।
তোর কপালে তিলক টেনে,তোর ঘরেরই কন্যা নিয়ে ওরা হল সাধু,
তোর হাতে তার বন্দুক দিয়ে,তোকে দিয়ে খুন কোরিয়ে,ওরা সাজে বাবু।
তোকে দিলো নাংগল-জোংগাল,করে তোকে চিরো কাঙাল,
ওরা হল সাহেব বাবু কোরে তোকে নষ্ট বাঙাল।
হাসপাতালের কসাই খানায়,প্রতিবাদের নাট্যশালায়,
হাটেবাজারের জুয়ার ম্যালায়,কোটকাছারির পতিতালয়।
আর কতোদিন খাবিরে মার,আর কতোদিন দিবিরে জান এমনি নিরুত্তরে?
এবার স্বজন হারা সখীরা আয়,মুচি ম্যাথোর মাওবাদি আয়,প্রতিশোধের অস্ত্রাগারে।
ওই রেশোন ঘরে লেগে আছে আমার-তোমার রক্তের দাগ,
ওই কিশান গুলো মোরলো ক্যানে  গায়ে দিয়ে জ্বালার আগ?
ওই সিকিউরিটির সিকিউরিটি নাই,চাকরি করে করপারেটে,
মন্ত্রী মশাই মঞ্চে বলে "আমরা আছি ওদের পাশে!"
রাজা এলো,কানি এলো,দুর্নীতির ভাই শাস্তি হল।
আমরি গ্যালো,চোলাই গ্যালো,ওদের সাজা কোনটি হল?
হপ্তা গেলে,মাসটি গেলে মিডিয়াতে মুখটি দ্যাখাই,
আপনজনে কম্বল দিয়ে,গোটাকতোক সাইকেল দিয়ে বাবুর মতো ভোট-টি গোছাই।
ফুটপাতে ওই পড়ে থাকা বৃদ্ধ প্রানীরে দেখলা কই?
রাজার মেয়ের নাক ফুটেছে রাষ্ট্র জুরে হচ্ছি সই!
ওরে হতোভাগা জনতার দল,মোমের বাতি হাতে নিয়ে অন্যকে  দিশ পথের দিশা,
নিজের মনের অন্ধটাকে আগে তাকে রাস্তা দেখা।
তুই নিজে আছিস অন্ধ প্যাঁকে,আগে ভোট প্রিয়সীর ছাড়না নেশা।
ওই রাস্ট্র দ্যাখো মারছে কতো শয়ে-শয়ে-নিরিহ প্রান
ওরে,প্রতিবাদে ফাসি হবে,হাজার গণ্ডা দোশ চাপাবে, এরই নাম সংবিধান।
ভগবানের নামটি ধরে নারীর গতোর খুবলে খেলে পাবিরে তুই সাধু নাম.
পেটের দায়ে শরীর দিলে দেশ জুড়ে হয় হোরির নাম।
ওরে তোর দেশের ওই সৈনিকেরা কতো নারির নিলো জাত,
আফাম্পা তবু মেডেল পেলো তোরা হোলি কুপোকাত।
আর কতদিন সইবি তোরা জাঁতা কলের এমনি মার?
এবার জাগরে ভাই,জাগুক দেশ,দিতে হবে পালটা মার।
ওই জংগলে দ্যাখ মারলো কতো তোর আমারি ঘরের ছেলে,
সিংগুড়ে ওই নন্দিগ্রামে মারবি কতো আর কোলের ছেলে?
বি এম ডব্লুর পুন্য দেশে মা ছেলেকে বিক্রি করে,
ডাস্টবিনের ওই খাবার খেয়ে কাঙাল গুলো রোগে মরে।
ওই আয়লাতে জার ভিটে গেলো,বন্যা খরায় ফসোল গ্যালো,
ওদের ক-জোন করলো খবর না খেয়েতো ওরই মলো।
সংসদে দ্যাখ হাজার রাজা নিজের ভাতা বাড়িয়ে নিলো,
সিকিউরিটি,ওই হাউসকিপিং,ভ্যান্ডার গুলোর পোয়া বারো।
ওই নেতার নেতা ধরে আছে রাস্ট্রপিতার শক্ত হাত
তুই প্রতীবাদ করলে  যাবে তোর পেটের-ই বাড়া ভাত।
পেটের দায়ে নারিরা সব করছে কাজ ওই কলসেন্টারে,
দাদার কোলে সুতে হবে নইলে তোমার কাজটি যাবে।
কম্পানিতে সাশোন আছে,সাশন করার মালিক আছে তবু দালাল গুলো মালিক সেজে কর্মচারীর পেট ধরেছে।
পেটের দায়ে মানুষগুলো,বিকিয়ে দিলে নিজের মান
মানুষগুলো মূল্য হিন তাই,কাজটি করো বিলিয়ে প্রান।
রাম বলো আর আন্না বল,দৃস্টি তাহার মসনদে
লোকপাল বিল আনবো দেশে,জনতারেই খাবো চুষে ঠ্যাং তুলে ওই সংসদে।
জনতার মন এমন যাদু নাখেয়ে যে করছে ওজু
ভোটের হিরক আসবে হাতে,আশুক না ঝড় ঝঞ্ঝা তবু।
ঝড়-ঝঞ্জা আর অনাহারে,একবার ওকি তার দ্যাখা পেলে?
"ঝড়-ঝঞ্জা দেশে হবেনা আর আমি দিল্লির মসনদে গেলে"
আমার নেতা,তোমার নেতা,এরাই হোল রাস্ট্র নেতা
ওই নেতা ই খাবে তোরে বুঝবি যে তুই কবে তাহা।
নেতায়-নেতায় রসুন কোয়া,সব রসুনের গোড়া এক,
আন্না-কেজরি,দিদি-মাতা এক মায়ের সন্তান দেখ।
ভগোবান ব্যাটা স্বর্গ ছেরে চুল্লু ঠেকে উঠছে দ্যাখ।
শাসন করে চুসে খেলো মদের গ্লাসে হাজার প্যাক।
চুল্লু হলও নব বিঁধান ধর্ম তারে কইছে সুরা,
ওই তরলে যোবন আছে গিলছে যে তাই ছেলে-বুড়া।
মায়ের কোলে মাথা রেখে মানুষ হলি অবশেষে ।
সেই মায়ের বুকে লাথি দিলি বউয়ের ঠোঁট চুমু খেয়ে
তোরা জাত গ্যালো জাত গ্যালো করিস মরা পশুর চামড়া ছাড়িস,
সেই চামড়ায় তাল তুলে সব ভগবানের পূজা করিস।
ভোটের আগে চামার-ছুতোর এক বিছানায় শুয়ে এলি।
ভোট ফুরালে গতর খানা মদের জলে ধুয়ে নিলি।
পায়ের পাশে পরে থাকা বৃদ্ধটারে ডিঙ্গিয়ে জাস,
মঞ্চ করে বস্ত্র দিলি নাম কামানোর গোলক ফাঁস।
আপ ডাউনের ভর্তি ট্রেনে হাজার লোকের আনাগোনা
কারে তুমি তুলে দিলে ওযে কাতর অন্ধ জনা
প্রানের ম্যালায় চেয়ে দেখি সব মানুষ নামের জন্তু,
অস্থি মজ্জ্যা সকল আছে মনটা শুধু পঙ্গু।
বাংলা জানি নাকো ভালো ইংরাজিতে কইছি কথা,
ফেব্রুয়ারির একুশ এলে দ্যাখাই প্রানে লাগে ব্যাথা!
জাত ভণ্ডামির পরশ লেগে,আসল নকল সব গিলে খেয়ে,
কোনটা ছারি কোনটা ধরি,নকোল টারে জাছি বয়ে।
ওরে রাতের ব্যালায় পোশাক পরে আমরা হলাম বাঙালি,
দিনের আলোয় ন্যাংটো হয়ে আমরা সাজি কাঙ্গালি।
হিসেব নিকেশ করি না ভাই ঘরে গেলে সব ভুলে যাবো,
তোমায় দিলে হাজারো মান আমি ফিরে কোনটি পাবো?
পাওয়া না পাওয়ার হিসেব করি কখোন মরি কখন ছারি
জগত চলে এই নিয়মে আমি ও তাই যাচ্ছি করি।
ওরে আর কতদিন করবি তরা পোশাক পরে নাট্ট্যদল?
সব জাতির ভাই মানুশ গুলো আয়নারে ভাই বাধি বল।
তোরা সবাই মানুষ হবি মায়ের ভাষায় কথা কবি,
জাত জাতি সব ভুলে গিয়ে সর্গ পুরীর মানুষ হবি।