শৈশবের সেই মিষ্টি মধুর দিনের কথা কই,
আসতো যদি আবার ফিরে হতো যে মোর সই।
দস্যি মেয়ে বলে আমায় ডাকতো গুরুজন,
সাথীরা সব মানতো হুকুম উদার করে মন।


টিনের চালে গাছের ডালে অবাদ বিচরণ,
মানুষ নামের বাদুর ঝোলার ছিলো শিহরণ।
পাকা ফলের গন্ধে সবার আসতো জিবে জল,
তরতরিয়ে গাছে উঠে দিতাম পেড়ে ফল।


কখোনো বা দিতাম ঠান্ডা কখোনো গরম,
হাবলে পড়ে গিলতো সবাই খুশীতে চরম।
দাদুরা সব আমার ভয়ে থাকতো এঁটে দোর,
সুযোগ পেলে লুঙ্গি খিঁচে দিতাম ভোঁ- দৌড়।


দাদীরা সব লাঠি হাতে হতো ঘরের বার,
আমায় পাওয়ার সাধ্যি কোথায় আমি পগার পার!
সারাদিনের মিশন শেষে ফিরে এলে ঘর,
মায়ের ভয়ে খাটের নীচে তনুটা থরথর।


জানতো যে মা আছি আমি তারই খাটের তল,
আদর করে নিতো কোলে ভুলে সকল ছল।
চুমোয় চুমোয় দিত ভরে আমার দুটি গাল
ভাবখানা মোর বেজায় লক্ষী, ঘটে দুষ্টু চাল।