নির্যাতনের চাকা চলে পুরোদমে ধেয়ে
বল্টু মিয়া ফোঁকর গলে পড়েন পাল্টি খেয়ে।
এই ধররে ধর,এই সররে সর করে পাড়ার লোকে,
বেহুঁশ হওয়ার আগে মিয়া তাকান বোকা চোখে।
সাহস করে ডাকেন পুলিশ ফিরে পেতেই হুঁশ,
ভাঙ্গা মাজায় কাতরিয়ে কন সবই মোর বউয়ের দোষ।
পরকীয়া করে যে সে চায়না মোরে তো আর,
কৌশল করে কেমনে জানি নিলো জানালার ধার।
শাশুড়ী মোর বড্ড লোভী আমার ঘরে এসে,
মেয়ের কানে পট্টি দিয়ে মাংস নেন যে কষে।
আমার জন্য থাকে পড়ে মাংস কষার পোড়া,
মানের ভয়ে কইনা কিছু দিবে যে হাতকড়া।
আমার কষ্টের কামাই দিয়ে ফোটানি সে করে,
আমি ঘরে আসলে পরে থাকে সরে সরে।
ছা পোষা এক মানুষ আমি ঢেঁকি সমতুল্য,
পুরুষ বলে খুলিনা মুখ দেবে না কেউ মুল্য।
পুরুষদের তো কাঁদতে মানা তারা মরদ জাতি,
নির্যাতনের যাঁতাকলে হোকনা যতই ক্ষতি।



বিঃদ্রঃ- আমার আজকের এই কবিতাটি, এই আসরের শ্রদ্ধেয় কবি বিভূতি দাসের পরামর্শে লিখা। আমার লিখা  “হবো না আর বিবস্ত্র ” কবিতায় উনি মন্তব্যে বলেছিলেন শুধু নারীরাই নির্যাতিত হয়না, পুরুষরাও হয়। তবে তাদের টা দেখা যায়না। আমাকে বললেন পুরুষদের জন্যও লিখতে। আমি উনার সাথে সহমত পোষন করি। তাই আমি আমার সহজ, সরল ভাষায় একটি কবিতা রচনার প্রয়াস করলাম। কেমন হলো তা সম্মানিত কবিরাই ভালো জানেন।