করোটিতে ঘুণ ধরেছে ঝিঁঝি পোকা ডাকে,
সব্যসাচী বৈঠা হাতে ঘুরে নদীর বাঁকে।
হাতের তরে হাত কি আছে! যেনো শুকনো কাঠি,
সব্যসাচী মন আনন্দে সাজায় ক্ষীরের বাটি।


পা দু’খানার ওজন ভারী নড়েনা এক বিন্দু,
সব্যসাচী লাগাম হাতে ঘুরে আসে সিন্ধু।
মুখখানা আজ প্রাচীন যুগের ঐতিহাসিক ছবি,
সব্যসাচীর রূপের ঝলক শুভ্র প্রভাত রবি।


শীর্ণ শরীর চুপসে থাকে জীর্ণ কাঁথার তলে,
সব্যসাচীর প্রাণের ছোঁয়ায় নানান ফসল ফলে।
প্রবীন ঘুমায় নবীন জাগে রং বেরঙের খেলায়,
অগ্র থেকে বিনাশ কালে ভাসবো একই ভেলায়।


বিঃদ্রঃ- আমার কবিতার প্রথম পাঁচটি স্তবকের প্রথম দুই চরণ প্রবীন এবং শেষের দুই চরণ নবীন হিসেবে বোঝাতে চেয়েছি।