প্রিয়তম মোর শ্রদ্ধাভাজনেষু, কেমনে আছেন আপনি?
আপনার তরে জানাই যে সালাম, আমি এই অভাগিনী।
করিয়া গ্রহণ মোর দুনো পাণি, সেই যে গেলেন চলিয়া।
যাইবার কালে গিয়াছিলেন কহিয়া, আসিবেন আবার ফিরিয়া। দিবা চলিয়া যায়, মাস কাটিয়া যায়, ফুরাইয়া যায় বছরখানি। আমি বিরহীনি পথো পানে চাহিয়া, পড়ে মনে আপনার বাণী। কেমনে আছেন ভুলিয়া দুঃখীনিরে, সেই যে সুদূর পরবাসে? সাধেরো যৌবন শুকাইয়া যে গেলো, নিঠুর একলা কারাবাসে। দিবা তবু কাটে যেমনি তেমনি, নিশিতে করে রাক্ষুসী ভয়। পাছে না মোরে একলা পাইয়া, শিয়াল কুকুরে টানিয়া লয়। আমি যে সুন্দরী, অবলা নারী ভরা যৌবনে পড়িয়া সাঁতরাই। কেমনে বাঁচাবো নিজেরি ইজ্জত, ভাবিয়া না কোনো দিশা পাই। আপনি ছাড়া কেবা আছে মোর, বুঝিবে পরানের ব্যাথা? হৃদো মাঝে রাখিনু করিয়া জমা, শত শত প্রেমেরি সুখ গাঁথা। নয়নের জলে ভাসিয়া যায় বক্ষ, কেহো নাহি দেখিবারে পারে। সাক্ষী যে কেবলি চারিদেয়ালগুলো, আর মানি সাক্ষী উপরওয়ালারে। ওগো প্রিয়তম পরানেরও সখা, দিবেন কি দেখা এই দাসীরে? আপনার তরে সঁপিয়াছি জীবন, ফিরাইয়া দেন বদনের হাসিরে। দোহাই প্রিয়তম করিয়া মিনতি, কহি আমি আপনার তরে। আসেন গো ফিরিয়া সবকিছু ছাড়িয়া, প্রেয়সী মর্জিনার ঘরে। নাহি থাকিলো আপনার তরে, মোর যে আর কিছু কহিবার। পরানের কথা কহিয়াছি খুলিয়া, নাহি যে তাকত আর সহিবার।



বিঃ দ্রঃ- এই আসরের প্রিয় কবি সাদিকুর রহমান রুমেনের অনুপ্রেরনায় যুগ যুগ আগের কোনো এক মর্জিনার পত্রকাব্য লিখায় উদ্বুদ্ধ হলাম। তাই উনাকে এই লিখাটি বিনা দ্বিধায় উৎসর্গ করলাম। পুরোপুরি সাধু রীতিতে লিখার অভ্যাস একবারে নাই বললেই চলে। তাই কোনো সম্মানিত কবির চোখে যদি কোনো গড়মিল ধরা পড়ে, আমাকে জানালে উপকৃত হবো।