অবশেষে পেয়েই গেলাম ঠিকানা
থার্থোমিটারের মতো মানুষের তাপে
পারদের ওঠা নামা শেষে,
থেমে গেছি সাপ্তাহিক হাটের কোলাহল
পেরিয়ে, দীর্ঘদিন মানুষের ছোঁয়া না লাগা
জমাট জলের পুকুরের মতো।


স্বীকার করলে কারও বন্দুকের গুলির দহন‌ও
ফুলের দলের আচরের মতো লাগে,
ভেজা গামছা নিঙরানোর মতো কচলানো
হৃদয়ে কিছু যায়গাতো থাকেই ভেজা ভেজা
শীতল সিক্ততার অনুভব। সেটুকুই জমিয়েছি,
রোদের আলো, বাতাসের সখ্যতা ফাঁকি দিয়ে।
মাটির কলসের মতো তাপ ধারন করে শিখে
নিয়েছি পর্যাপ্ত সুপ্ততাপের প্রণালী।


চাঁদ যেমন সূর্যের আলো বমি করে,
তেমন বদ হজমে বেড়ে ওঠে জৈবিক নুন
ভাতের ঋণ।
অনুর্বর মাটির মতো পড়ে থেকে দেখেছি,
কত মুখোস মুখ খুলে দেখিয়েছে, কার‌ও মুখে
হাসিও দেখেছি। ভেতরে পুষেছি বিরান শোক।


দেখেছি, রক্ত মাংসে যন্ত্র না হলে
পোষা যন্ত্রনা থেকে মুক্তি মেলে না।
প্রকৃতিও ভাগ চায় প্রাণের,বলিদান‌ই আশ্চার্য
বিধান, ঈশ্বর নয় সময় অপেক্ষা করে ধারালো
চাপাতি হাতে মোক্ষম ক্ষণের।



১০ জুলাই ২০২১