১.


গতকালকে স্বপ্ন ভেবে দিন কাটানো একমাত্র কবি আমিই, রহশ্যের জালে জড়াতে জড়াতে
আমিই আবিষ্কার করি, এই মহাশূন্যে আমি
আসলে বিমলিন স্বত্ত্বা, অস্তিত্বের সুর‌ঙ্গ
খুঁজতে খুঁজতে হারিয়ে ফেলি আসল আমিত্বের গুপ্তধন।
লোভের ফসিল হাতরাতে হাতরাতে অন্ধ
হয়ে যায় মহাকাশের জলন্ত সমস্ত আলো,
আমি আগন্তুক অরণ্যে দৌড়াতে থাকি, ফেলে
রেখে সমস্ত মায়া কামনা আর রক্ত রসের টান। আবছায়া আমার শরীরটাকে ছুঁয়ে ফিরে
যায় ব্লাকহোলের যোনিপথে। অমাবস্যার পথ
ধরে হাঁটে আমার মস্তিষ্কের দর্শন ভ্রম আর না
মেলা অংকগুলো। জারজ সন্তানের মতো
আমিও ভাবতে থাকি উপরের ঈশ্বর আসলে নপুংশক।


২.


নদীকে যৌবন ভেবে নাবালিকা মেয়েটা
তার যোনিকে নৌকা বানায়, জোয়ারের
জলের মতো ছলাৎ ছলাৎ ঢেউকে ভাবে
অসুখের তাবিজ। খোলা জোৎস্নায় উদম
হয়ে ভাঙে চাঁদ, অসুখের উপদ্রবে যৌনাঙ্গের
উপকূলে টের পায় জলোচ্ছ্বাস। দুঃস্বপ্নের
মতো কামড়াতে থাকে অভিশাপের আয়না,
ভাঙা নৌকোয় কুড়াতে থাকে ঝিনুক ঝিনুক সুখ।


৮ সেপ্টেম্বর ২০২১