অপেক্ষার নামও হতে পারে
প্রেম। শীতার্ত প্রৌঢ় প্রেমিক সেও
হাড়ে হাড়ে, জেনেছে তখনি—
পহেলা ফাল্গুন আসবে বলে
       তুমি আসোনি যখন।


সূর্যোদয় সূর্যাস্ত, গোধূলির চৌহাট্টা
খাঁখাঁ বিরান অপয়া বইমেলার
পারদস্তম্ভে উঠানামা করে গেছে
       অশনিসম্পাত জ্বর।


ক্যালেন্ডারের দিনগুলো এখন অভিমানে
শেল্ফে ঘুমায়। তুমি এলে পেখম
মেলে—এরাই হতো ময়ূরকণ্ঠী শ্রোতা;
নমন তালুর হাতের ছোঁয়ায়
লিখে দিতো— ‘ফাল্গুনি রায়’
       বসন্ত-পূজারি প্রেমের কবিতা।


১৪০২২০১৯
প্রফেসর’স লজ।