পর্ব-১
রাস্তার মোড়ে চায়ের দোকান, বসে ছিলাম একা,
হঠাৎ করে মিলে গেলো, টোকাই দলের দেখা।


একে একে সবে এলো, দাড়ায় সম্মুখ পানে,
কাকু মোদের দেন গো জল, তৃষ্ণা পরাণে।
গ্লাস হাতে কথার ঝুড়ি, চিন্তা কোথায় যাবে?
হিসাব কষে দিল টাকা, দিতে যত হবে।


পাগল আমি গেলাম পাশে, বলি দাড়াও ভাই,
ভাব করিব তোমার সনে,পরিচয় জানা চাই।
কে রে তুমি, থাকো কোথায়, কি বা তোমার কাজ?
মনের যত কথ্য তোমার, শুনব আমি আজ।


পর্ব-২


বস্তি আমার আপন নিবাস, মা বাবা বোন সবে
গায়ে মোদের চাদর ছিল,ভুলে গেছি কবে।
দুঃখ-কষ্ট বুঝি নাকো, সঙ্গী মোদের ক্ষিধে,
আড়পিষ্টে জড়িয়ে মোরা, হারিয়ে যায় নিদে।


ঘুম পেরোলেই জেগে ঊঠি, আযানের ধ্বনি শুনে,
ছিড়ে জামায় বেরিয়ে পড়ি, ক্ষিধে পেটের কোণে।
বেরিয়ে পড়ে ক্ষিধের জ্বালায়, বস্তির যত ছেলে,
ধীরে ধীরে মিলে যায় মোরা, ছোট্ট একটি দলে।


ঝুলিয়ে ঝুড়ি কাধের উপর, কাগজ খাতা লোহা,
খুঁজে বেড়ায় এথায় সেথায়, ময়লার যত গুহা।
ছুটে চলি এপাশ-ওপাশ়, পুকুর নালা নর্দমা
খুঁজেই চলি লোহার শিকে, পয়সা-খড়ি তামা।


নিয়ে মোরা যাই  ছুটে, বিক্রি করতে ঝুড়ি,
সব মিলিয়ে হয় তো জুটে, অর্থ একশ কুড়ি।
পকেট গুঁজে ফিরে চলি, মায়ের স্নেহের কোলে,
মা আমায় জড়িয়ে রাখে দুঃখ কষ্ট ভুলে।


এই তো আমার গরীব জীবন, এই বিশ্বমহিমায়,
মায়ের কাছে সোনার ছেলে, লোকের কাছে টোকাই.....