তুমি যখন আমার কবিতায় অশ্লীলতা খুঁজছ
আমি তখন তোমার মনের সংকীর্ণতা মাপছি।
সংকীর্ণতা থেকে উদারতায় যেতে অনেক খানি পথ পারি দিতে হয়,
আমি ভাবতে বসেছি তুমি কতটা পথ পাড়ি দিয়ে এসেছ
বা আদৌ কি পথে নেমেছ কখনো।
নারীর মুখ পুনরায় সূর্যের আলোয় দেখতে এই পৃথিবীর অনেক কাল কেটেছে,
অনেক কাল তোমরা ভদ্রতার মুখোশ পড়ে আছ,
ধর্মের নামে, সমাজের নামে, সভ্যতার নামে
প্রাকৃতিক তনু ঢেকে রেখেছ ভূষণে বসনে
তাকে কি আর চাইলেই খুলে ফেলতে পারবে?
আর অনেক বছর কেটে যাবে তোমার শরীর কে শরীর বলে চিনতে।
মানবের শরীর কোনোদিন অশ্লীল হয়না,
সেই অসভ্য যুগে মানুষ যখন প্রাকৃতিক বেশেই থাকত,
প্রাকৃতিক নিয়মেই শারীরিক প্রেমে ভেসে যেত,
পোশাকের ভদ্রতা যখন মানুষের উদারতা কে ঢেকে ফেলতে পারেনি,
তখনও ভদ্র বেশ ছাড়াই মানুষ ভীষণ শালীন ছিল,
ভীষণ প্রাকৃতিক ছিল।
এরপর শরীর ঢেকে যখন সভ্য হল মানুষ
শুরু হল শরীরের নানাবিধ সভ্য ব্যবহার,
শুরু হল যথেচ্ছা যৌনাচার,
তখন তোমরাই জন্ম দিয়েছিলে অশ্লীলতা,
আর আজকে তোমরাই, সবকিছুতে, সেই অশ্লীলতাকে খুঁজে ফেরো,
সেই অশ্লীলতা, যা তোমাদের মনের ভেতরে বাস করে,
সংকীর্ণতায় ভরা তোমাদের মনের জন্য তাই, আমার এ দুঃখ প্রকাশ!!