কবির এখন বর্ষাকাল
সৃজনশীলতার মাঠে কবি এখন
লাঙল চালাবেন ।
কবিপত্নী ল্যাপটপ টেবিলে রাখেন ।
চার্জে বসান ।
কবি মাথায় আনতে চেষ্টা করেন
আমাজন জঙ্গল, সুন্দর বন-
কিন্তু ঠিক ঠাক আসেনা
বাঘ-হরিণ-জেব্রা । রাটেল স্নেকের
ঝুমুর ঝুমুর শব্দ কবির কানে
কেমন যেন অস্পষ্ট শোনায় ।
কবিপত্নী ততক্ষণে ওভেনে বসিয়েছেন
চা । কবি নাক দিয়ে টাটকা
খেজুরের রসের গন্ধ শোকার চেষ্টা
করেন অনুভবে । কিন্তু এবারও ব্যার্থ ।
কবি বিস্মিত হন । মাথার
মধ্যে তীব্র একটা
যন্ত্রনা অনুভব করেন কবি ।
ব্যাথা কি ? হ্যা ব্যাথা !
কপাল বরাবর দুটি শিরার তীব্র
ওঠানামা । কবি মাথা ধরে
বসে পড়েন বিছানায় ।
কিছু একটাতো লিখতে
হবে কবিকে । কিন্তু কবি কিছু
কল্পনা করতে পারছেন না ।
বন নেই , বাঁদর নেই ।
কবির সুদর্শন মূল চরিত্র গুলির
ক্ষয়রোগের ক্ষত সেরে উঠেছে
ঠিকই কিন্তু মারণরোগ
এইডসে ছুটি নিয়েছে আবার ।
কবির সারা শরীর ঠান্ডা
হয়ে আসার জোগাড় ।
কবি ভাবতে চাইছেন-
জ্যোৎস্না রাতে গঙ্গা ।
কিন্তু জ্যোৎস্না আছে, রাত আছে
অথচ ইলেকট্রিকের আলোয়
সেই মোহময়তা নেই
সেই রোমান্টিকতা নেই ।
কবি ক্লান্ত । কবি ঘামছেন ।
কবি বাঁচার সংঞ্জায় বিশুদ্ধ
অক্সিজেন বলে কিচ্ছু পাচ্ছেন না ।
জলের মধ্যে আর্সেনিক থাকাকে
কবি বেঁচে থাকা
মনে করেন না । জাড়োয়াদের
তীরের ফলায় কমে আসছে
বিষের তীব্রতা । জুলুরা
গান গাইছে না । মহুয়া-মাদল
ছাড়া একটা পৃথিবীতে
কবীর কেমন জানি নিজেকে
মনে হচ্ছে শ্বেতপাথরের মূর্তি ।