পুঁইলতা লকলকিয়ে ওঠে এখনো মাচায়
মা, তোমার অদৃশ্য হাতের মিষ্টি ছোঁয়া
মরিচের চারাগুলো যে দাওয়ায় বোয়া
এখনো বাদলা থেকে তারে আদরে বাঁচায়


দেশ ছেড়েছিলে টিনের যে বাকসো জড়িয়ে
রংচটা সেটা এখন , ছিঁড়ে গেছে তার ত্বক
কোলের বাস তাতে তোমার রেখেছি ভরিয়ে
হলদে জামাকাপড় খুললে এখনো ভক্ ভক্


সন্ধ্যারাতে ঘুম ভারি হলে চোখের পাতায়
তুমি হেঁটে এসে নিঃশব্দে চাদর ঢেকে যাও
বুঝি , পরম স্নেহে হাত বুলিয়েছ মাথায়
কাদা হওয়া শিশুটিকে কত্ত যত্নে খাওয়াও


উঠোনে লাগানো তোমার নিমগাছটা জানো
অনেক বড় হয়েছে, আকাশ ছুঁয়েছে প্রায়
ডালপালায় রাত্তিরে, তুমি মানো  না মানো
মিঠে মুখ হয়ে যায় তোমার পাতায় পাতায়


কাঞ্চনফুলের গাছটি পুঁতেছিলে তুলসির পাশে
কতদিন ফুল ফুটেছিল , আলো করে ছিল ঘর
সেটি নেই আর , কবেই মরে গিয়ে করেছে পর
সেইখানে জোনাকি রাতে আজো জানো  আসে


তুমি জানো না মা , আমিও তোমায় দেখি
খেতের সরু আলকে করেছো বালুচুরি পাড়
মেঘলা আকাশে তোমার নরম মুখখানি আঁকি
কাচা-পাকা শিস্ জুড়ে শাড়ি বিছানো তোমার


যখন ছিলে , বুঝি নি , কোথায় ছিলে সেদিন
আজ যখন তুমি নেই, সর্বত্র ছড়িয়ে রাতদিন !