এখন আর আগের মতো বাঁদর নাচ কৈ
এত্ত বড় ঝোলা কাঁধে মাদারী আসতো
খৈনি-গন্ধা ঠোঁটে আউরে যেত দুবোর্ধ্য মন্ত্র
শেকল-বাঁধা বাঁদরের নৃত্যে মুগ্ধ হয়ে রই ।


আমাদের শিরদাঁড়া গলে গেছে অনেক কাল
যাদের তা ছিল তারা তো সব শহীদ মৃত্যুঞ্জয়
সংসারে তাদের মোহ ছিল না বিয়েতেও নয়
যে সব জিন বইছি সে গুলি তো সবই জাল ।


মাদারী নাচিয়েছে বাঁদরটাকে তার ইচ্ছে মতো
শেকলের বাজনায় একবার বাম একবার ডানে
ইংরেজ যা পেরেছে দুশো বছরের ইতিহাস জানে
নিশ্চিত ধ্বংস করেছে এ মাটির খাঁটি জিন যত ।


আমরা তো বহন করে চলেছি মোসাহেবেরই বীজ
কেঁচো কেন্নোর মতন সেই শুক্রাণুই করছি বপন
মাদারী দেখে তাই নেচে উঠে শেকল করি আপন
ওরা যাবার ছয় দশক পরও দেশ বাঁদরে গিজগিজ ।


মাদারী হাসছে লুটিয়ে পড়ছে হয়তো আনন্দে
দুটি শতকে ওরা যা পারে নি মানুষের বাঁধায়
জাতি ভরে গেছে বাঁদরে আর মাদারীর গন্ধে
স্লো বাট স্টেডিলি মাত্র সত্তরটি বছরের মাথায় ।


ঘিরে ধরে এ নাচ কারা দেখছে কি জানি
দুচারজন মানুষ থাকারই কথা জানে অন্তর্যামী ।।