গা ছমছম সন্ধ্যায়
ভুতের আসরে ভেসে আসতো
ঝিঁ ঝিঁ
বেলের গাছে ঠ্যাং ঝুলিয়ে দোলাতো
বেহ্মদত্যি
একবুক ঘোমটায় উঠোনে হেঁটে যেত
শাকচুন্নি বাতাস
মা কিংবা মাসি জমিয়ে দিত আঁধার
বাঁশ বাগান ছাড়িয়ে তখন জোছনা বাড়ছে
আকন্দের গাছে মাঝে মাঝে কে দোলায় মাথা
থেমে থেমে কঁকিয়ে উঠছে ডুমুরের কোটরে
কোন শিশু
তখন এদিকে বিজলির চমক কেবল গর্ভবতী মেঘে
ঘরে কেরোসিনের কুপো বাতি উঠোনে চটিতে লন্ঠন
একা কলতলায় যাওয়া মানা
করবীতলায় হাজার হাজার জোনাকি একাকী ফুলকি
তাল নারকোলের ঝুরি থেকে দুষ্টু ভুতেরা নেমে
বাঁশবাগানের ঠান্ডা আড্ডায়
পেত্নীগুলো নাকি যত্ন করে কেউ গেলে
নাক টিপে হাত বুলিয়ে দেয় গালে


সেই ভয় ভুতে ছিল আমার আগাপাশতলা
বর্তমানেও বেরিয়ে আসতে পারি নি
ভবিষ্যত কি যে হবে তা ভবিষ্যতই জানে