মেয়ে, তারচে বরং সঙ্গমে লিপ্ত হয়ে যাও!
কেননা, যোনীর নিরাপত্তা বিধানে তোমার পরিবার ব্যর্থ!
কিছু লোক মোমবাতি জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করবে, মিছিল মিটিং মিডিয়ায় আসবে বৈকি।
তাতে কী?
এসবে কার কী লাভ হয়েছে কবে?
ও মেয়ে- তুমি যদি,
অচেনা শহরের অজানা রহিমা হও,
তবে চাওয়ার আগেই উরু মেলে দাও!
কেননা, তোমার কপালে ঐ সহানুভূতিটুকুও জুটবে না।
শোনো মা, আজকে যেমন দেখছো, সুদূর অতীতেও দেখেছি এমন নৃশংসতা!
মুখোশের অন্তরালে মুখোপাধ্যায়ের আঁতাত,
লালসার তৃপ্তি মেটাতে দীর্ঘকায় লাশের মিছিল, কোনদিনই থামেনি বিক্ষুব্ধ ক্ষতবিক্ষত যোনীর আর্তনাদ।


বাদ দাও সে-সব কথা,
আমি জানি- আমি জানি কিচ্ছুই হবেনা, নেই কোনো লাভ!!


আর তাই শুধুশুধু চেয়ে দেখি,
জারজ শব্দে ওরাই করছে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন,
মিছিল মিটিং আর মিডিয়ায় ঐ মুখগুলিই ভাসে! ফরমায়েশি দৈনিকের পাতায়, পুলিশের খাতায়, টিআরপি রেটিং পেতে বিবেকহীন দর্শকের উঁহু আহা বাড়াতে কিংবা কংক্রিটের আদালতে প্রাণহীন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে হাজারো প্রশ্নবাণে বারবার ধর্ষিতা হওয়ার চাইতে ধর্ষকামে মজা লুটে নাও।
আর যদি পারো, তবে ওদেরই ধর্ষণ করে নাও!


জেনে রাখো মেয়ে,
যোনীর স্বাধীনতা কিংবা নিরাপত্তা
এখানে কোনটাই নেই।
সুতরাং, সঙ্গমে লিপ্ত হও, মজা লুটে নাও!