অপরাধী কে?
তোমরা নাকি অন্যকেউ?
এদেশ তোমরাই চালাও, তাই না!
তাহলে,
কেন তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত কর না?
ওদের কি আত্মপক্ষ সমর্থনেও বলার গরজ নেই?
নাকি ওদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কথা বলার সাহসটাই হারিয়ে ফেলেছো?
যা দেখছি,
তাতে বলা যায় তোমরা বিবেকের সওদাগর!
লাভ ছাড়া কিছু দেখোনি,
পাক্কা ব্যবসায়ী বনে গেছো বটে!
ঠাঁটে বাটে চলার যে অবিরাম অগ্রযাত্রা, সে-ও বেশ জমকালো
তবুও,
তোমাদের নিজস্বতা বলে কিছু নেই!
আরে তোমরা তো কবেই হারিয়ে গেছ,
এখন ফুরিয়ে যাবার পথে, হিসেব চুকোনোর পালা!
থামো, নিজেদের গতিতে দম দাও;
থেমে রও কিছুক্ষণ।


ফিরে যাও পঞ্চাশ বছর আগে
চেয়ে দেখো সদ্যভূমিষ্ট বাংলাদেশ!
দেখো,
তর্জনী উঁচিয়ে জ্বলজ্বলে রাজটিকা পরা বীরপুরুষ,
দেখো,
লক্ষ লক্ষ বীরের জন্মচিহ্ন!
দেখো, বীরাঙ্গনা বীরপ্রসূ নারীর উর্বরতা
এতসব না বুঝেই কেটে দিতে চাও ওদের জন্মচিহ্ন?
চাইলেই কি মুছে ফেলতে পারো তাদের নাম?
তোমরা এতটাই বেঈমান!!!
বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড় কর নিজেকে
অন্তত একবার বিবেকের কথা শোনো,
ও রে, কোথায় চলেছ অবেলায়?
চেয়ে দেখো ঐ পাঁচিলের উপর
তোমাদের পূর্বপুরুষের গল্প লেখা রয়!


সে কী!
বিবেকের দায় কারোর হাতে নেই,
যার যার পাতে চলে গেছে!
মানসিক দীনতার সকরুণ অবস্থা,
কীসে পেতে চাও মুক্তি?
হে বীরাচারী বঙ্গমাতার সন্তান.....
কেন! কেন?
কেন তোমাদের ক্ষিধে বেড়ে যায়?
এ ক্ষুধা কিসের?
যে ক্ষুধা রক্তের!
সে ক্ষুধা মেটাবে কিসে?


°
°
°
রক্ত ক্ষুধা
তেরো সাত একুশ