মানবরূপে জন্ম নেয়া যদি পাপ হয়
তবে সে পাপ, আমার একার নয়!
ঐযে মসজিদে আযান দেয়া বিল্লাল,
মন্দিরের পূজারী হরিলাল, ফাদার ডিসুজা-
মঠাধীশ জ্ঞানভিক্ষু তারাও কি পাপী নয়!?
নাকি তারা মানুষ বৈ অন্যকিছু!?
জগতের সকল পাপ কেন শুধু আমারই হয়?
উত্তর দাও- কী হলো তোমাদের? দাও- উত্তর দাও!
চুপ থেকো না আর- আমার উত্তর চাই, উত্তর!


অদেখা ঈশ্বরের প্রতি তোমাদের অগাধ বিশ্বাস-শ্রদ্ধা-ভক্তি-ভালোবাসা! অথচ, চোখের সামনে থাকা মানুষগুলোর প্রতি এর কোনটাই নেই!
কেন নেই?
বলো কেন নেই?
তোমাদের ঈশ্বর কি মানুষের চাইতেও বড়!?
নতুবা কি চায় তোমাদের ঈশ্বর- রক্ত! মাংস! প্রাণ!!
প্রশ্ন জাগে মনে-
অসহায় মানুষের হাড়গোড় রক্তমাশে কিভাবে শান্ত হয় তোমাদের ঈশ্বর!?
কেনইবা পৃথিবীটাকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র খন্ডে ভাগ করে মহাদেশ-দেশ-ধর্ম-বর্ণ-জাত-পাতের লেবেল সাঁটিয়ে মানুষকে পৃথক করেছো নিজের পৃথিবী থেকে?


হে মুখোশে মানবের দল -
কী হলো তোমাদের?
উত্তর দাও- উত্তর!
একদমই চুপ থেকো না আর- আমার উত্তর চাই, উত্তর!
যদিবা আমি জানি, তোমরা অনেকটা অসহায়!
কেননা, সদুত্তর তোমরা জানো না!
কোনদিনই জানতে পারো নি সত্য!
বস্তুতপক্ষে, তোমরা মিথ্যেবাদী- জন্মান্ধ
যারা মানুষের পৃথিবীটা ঈশ্বরের হাতে তুলে দিতে চাও!
নাকি তোমরাই- ঈশ্বরকে ভুল পথে পরিচালিত করছো?
এক্ষণে আমি সত্যিই দ্বিধান্বিত!
তোমরা আসলে কী চাও?
ঈশ্বর চাও!
তো নাও না, কে আটকেছে তাকে?
তোমরা ভালো থাকো তোমাদের ঈশ্বর সমেত
স্বর্গলোকের হুর, দুধের নহর, ফুলের বাগান, শরাবের ঝর্ণামুখে মহানন্দে সাতরাতে থাকো অনাদিকাল
কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াবে না সম্মুখ।
অগত্যা আমরা সেথা অগ্নিকুন্ডের জ্বালানিই হবো-
তবুও তোমরা থেমে যাও; যথেষ্ট হয়েছে-
ঈশ্বরের উপরে আর হাত বাড়িয়ো না!
মানুষের পৃথিবীতে, মানুষকে বাঁচতে দাও।


_______ বাঁচতে দাও।
              ইবনে মিজান
     ডাঙ্গাপাড়া/১৯ জুন-২০১৯