মরণের পরে কী হবে? সে-তো ভালো করেই জানি!
তাই এপাড়ের দিনগুলোতে হাসিখুশি থাকাই লক্ষ্য
এখন থেকেই আড়ম্বরপূর্ণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে চাইলে অঢেল সম্পদের মালিক হতে হয়
কখনো কখনো নরবলিও চড়াতে হয়!
ইতিহাসখ্যাত সম্পদশালী ক্ষমতাধরেরাও যখন খালি হাতে ফিরে যায়
তখন ছাপোষার স্বপ্ন মোটা কাপড়, মোটা ভাত, মাথার উপরে ছাদ, সন্তানের পড়ালেখা, পরিবারের নিরাপত্তা আর ব্যক্তিত্বের স্বাধীনতা;
চিকিৎসার বালাই নেই, ওটা দুঃস্বপ্ন
অবশ্যই, অবশ্যই ওটা দুঃস্বপ্ন!
কেননা, অনাগত আপদে সকলেই গলা ছেড়ে বলবেন "ফি আমানিল্লাহ!"
ওদিকের কর্তারাও বলবেন, "কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন He is no more!"
সুতরাং, মধ্যবিত্তের এরচে বেশি চাওয়া পাপ অন্যায় অপরাধ এবং আত্মপ্রবঞ্চনা!
নিশ্চয়ই জানেন? আত্ম প্রবঞ্চক লোকেরা কখনোই সুখী হতে পারে না!
কথাপ্রসঙ্গে কেউ একজন বলেছিলেন,
"হাতির মলত্যাগ দেখে খুশিতে ডগমগ হবার কিছু নেই, তার খাওয়াতেও মনোযোগী হওয়া উচিত"
আমিও তা-ই বলি,
"স্বপ্ন দেখা ভালো, তবে সাধ্যের ভেতর থেকেই, কেননা ভারবহনকারী গাধাটিরও সীমাবদ্ধতা আছে"
অতএব, সুখের নিশান উড়াই
যতক্ষণ বাঁচি হাসিখুশি থাকি
হৃদয়ে চোট নিয়ে কী লাভ?"


°
°
°
সীমা
_______ রশিদ ভাই।
ত্রিশ বারো কুড়ি