শোনো বাপু, তুমি নাকি কবি?
তোমার লেখা প্রেমের কবিতা
সবশেষ কবে পড়েছিলাম?
মনে পড়ে না!
মনে পড়ে কি, শেষ কবে লিখেছিলে?
যৌবনসঙ্গীতের মূর্ছনায় রাতের আকাশ,
ভোরের পৃথিবী, অনুর্বর শরীরে উর্বর প্রেম, পরিবর্তিত প্রকৃতি, জৈবনিক ব্যস্ততার টানাপোড়েন, টোনাটুনির গল্প সহ কত-শত বিষয় উপজীব্য করে লিখে যেতেই পার, তা-না করে এ-সব কী করছ ছাইপাঁশ!
শুধুশুধু অহেতুকী যুক্তি দেখিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হবার কী দরকার?
চারিদিকে এতো মানুষের মৃত্যু, নির্যাতন, নিপীড়ন, অন্যায়, অবিচার এমনকি গণহত্যার নির্মমতা দেখার পরও আমরা স্থিরচিত্ত,
দেখো- গালে জিভ লাগিয়ে চুপচাপ বসে আছি;
অগত্যা, টিকে থাকতে হলে বেঁচে থাকতেই হয়,
কী অবুঝ, আরে যদি বেঁচেই না থাকো!
তবে কী হবে এই লেখালেখি নিয়ে?
ঐ কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা, জীবানুস্ত্র ভাইরাস, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, দেশীয় বেনিয়াদের অংশগ্রহণ, চিরাচরিত দাসত্বের নির্মম গৃহস্থাশ্রম - এসবের ব্যাপারে কবিদের বলার কিছুই নাই! হুম, কিচ্ছুই নাই!
আর বলেই বা কী লাভ?
তাছাড়া, অত সব বলতে গিয়ে পিতৃপ্রদত্ত প্রাণটাই বা কেন হারাবে বেঘোরে!
হুমায়ুন আজাদের গল্পটা এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে চলবে কী করে! ঐ বেঞ্জামিন মলওয়েজকেও নিশ্চয়ই ভুলে যাওনি?
লেখালেখি করতে চাও, কর, কে নিষেধ করছে?
খানিক ভেবেচিন্তে লেখো,
কলমে মলম মাখিয়ে বাবুদের বুকে পিঠে পাছায় মালিশ করতে থাকো, পদ পদবী অর্থ বিত্ত সম্মান দুই দিনের মাথায় পায়ে হেঁটে লুটোপুটি খেলবে!
আরে বাবা, এতটুকু চালাকচতুর না হলে কী করে চলবে, বলতে পারো?


_______ বলছি যে,
দ্বিপ্রহরী রাত্রি,
ডানাঝাপটায় ডাহুকী
চল প্রেম করি-
মানবের তরে প্রতিবাদী সুরে।


°
°
°


দ্বিপ্রহরী
ইবনে মিজান