মায়াদেবীর জাদুতে অদৃশ্য শত্রু জন্ম নেয়
যেই শত্রু তাকে বিবসনা করে,
অতঃপর পালাক্রমে ধর্ষণ!
সে প্রতিবাদ করেনি, ক্ষমাই চেয়েছে বারংবার!!
লিখনিতে সকরুণ কাহিনী সৃষ্টি করে কী লাভ?
দেখা গেল, কারোরই অন্তর বিগলিত হয়নি।


ধর্ষিতা মায়াদেবী, বস্ত্রাবৃত হবার প্রাণান্তকর চেষ্টা! অপরদিকে তার মাথায়, বুকে পিঠে পাছায় লাত্থি মারার দায়িত্বে নিয়োজিত সেই জোয়ান-কিশোর!
ভয়ার্ত মায়াদেবীর অসহায় আর্তচিৎকার -
"ওরে আব্বারে
ওরে আব্বারে-বাঁচাওরে......
ক্ষমা করে দাওরে 😫 মাফ করো রে
ওরে আব্বারে..... বাঁচাওরে"


না, তাকে বাঁচাতে তার আব্বা আসেননি!
এ কেমন আব্বা?
আমরা জানি আব্বা মানে বাপ, ভদ্রলোকেদের ভাষায় বাবা, পিতা বা জনক, আর ইংরেজি বাবুরা বলেন Father
তো, এই মায়াদেবীর Father এর নামটা কী?
যিনি নিজের মেয়েকে বাঁচাতে পর্যন্ত এলেন না!


কেউ একজন বলে যায়,
"স্বর্গ পেলে বঙ্গবন্ধু নামে হাঁক ছেড়ো,
নিশ্চয়ই, দেবী পিতার মোলাকাত পাবে।"


রাত্রি দীর্ঘ হয়,
পরাস্ত মায়াদেবীর অন্ধকারাবৃত ভাগ্যাকাশ!
আবারও জাগে সেই দীর্ঘশ্বাস
আমায় ক্ষমা কর
আমায় ক্ষমা কর
আমায় ক্ষমা কর
আমি দুঃখিত বাংলাদেশ!
রাতজাগা প্রযুক্তিতে কোনো নীলছবি দেখি নাই!
দেখেছি, পিতৃহারা মায়াদেবীর ধর্ষিতা লাঞ্চিতা বিবসনা শরীর-দেখেছি এলোকেশ।



°
°
°
দুঃখিত বাংলাদেশ!
______ রশিদ ভাই।
    পাঁচ দশ কুড়ি