একদিন তোমারও এমন আসবে;
হাসির পৃষ্ঠে ঝুলবে বার্ধক্যের ছাপ,
দৃষ্টির পাতায় যোগ হবে অস্পষ্টের ছায়া,
যৌবন ঢলে পড়বে অবেলার উঠোনে,
ক্লান্তি এসে চুমু খাবে অনুমোদনহীন নিয়মে,
একাকীত্বের গন্তব্যে দেখা পাবে না এক ফোটা জলের ।
খোকা,
প্রতিটা কষ্ট আকড়ে ধরে আমাকে ঘুমের পিঠে,
আমি নিরুপায় হয়ে ঘুম বিক্রি করি স্মৃতির দেয়ালে,
বার্ধক্যের পেয়ালায় নির্ভরতার হাত বেঁচে থাকার অন্ন হতে বিরোধিতা করে;
বয়সের আয়নায় নিত্য দেখতে পাই মৃত্যুর শিরোনাম,
তৃষ্ণার গ্লাসে গিলে খাই অসুখের প্রেসক্রিপশন,
মৃত্যুর আগেই আমি মৃত তোমার বিবেকের কাঠগড়ায়,
অবহেলার প্রিয় বস্তু করে বৃদ্ধাশ্রম সাজিয়েছো আমাকে রেখে ।
একদিন তোমারও এমন আসবে;
বালিশের কভারে বাড়তে থাকবে একাকীত্বের বোঝা,
অসুখের পেয়ালায় অশ্রু চুমুক দিবে ঔষধ হিসেবে,
ঘুমের দেয়ালে সংসার খুঁজবে ল্যাম্পোস্টের আলোয় ।
খোকা,
তোমার ঘরে বাবা শব্দের উচ্চারন নাও হতে পারে;
কিন্তু আমাদের বৃদ্ধাশ্রমে বাবা শব্দ উচ্চারন হয় প্রতিটি বাবার মুখে,
গভীর ডাকে সন্তানদের জন্য প্রার্থনা করা হয়;
বৃদ্ধাশ্রমের ঠিকানায় যেনো তাদের বার্ধক্য না খুঁজে পায়,
মৃত্যু যেনো বৃদ্ধাশ্রমে তাদের স্বাগত না জানায়,
নিয়তির কপালে আঁকা না হোক আমাদের মতো শেষ বেলার চিত্র,
অপরাধের মানচিত্রে তোমাদের উপস্থাপন করা না হোক তালিকা করে,
বরংচ তোমাদের বার্ধক্যে তোমাদের তাদের শৈশব ভাবুক; আকড়ে রাখুক ।