যে শিশুটি নিয়মিত কাগজ কুড়াতে অভ্যস্থ,
কিংবা প্লাস্টিক বোতলে যার দৈনিক রুটিন;
সে জানে অভাবের রঙ কতটা বিদঘুটে,
সে জানে ক্ষুধা একটি অভিশাপের নাম;
কারণ ক্ষুধা নিভাতে মানুষের চরিত্র দুর্গন্ধ হয়!
কেউ অন্যায় করে পেটের ক্ষুধায়;
কেউ খুন করে ক্ষমতার পত্রিকায় নিজেকে শিরোনামে বসাতে,
আবার কারো ক্ষুধা অর্থের পাতায়,
কারো ক্ষুধা নেশার বৃত্তে!
যে মেয়েটির পৃথিবীতে দুঃখ দেখার কেউ নেই;
তার কাছে অভাব একটি কটুকথা!
প্রতিটা লোকমা খাবারে সে নিত্য খোঁটা মিশিয়ে খায়;
কিংবা চরিত্রে ঘৃণ্য দাগ এঁকে একটু ঠাঁই পায়।
যে লোকটি বেকারের খেরোখাতায় ঢুকে আছে;
তার কাছে অভাব হচ্ছে মরনব্যাধি,
হতাশা তার প্রধান খাদ্য,
আর মৃত্যু হচ্ছে ক্ষুধা কমানোর সেরা ঔষধ!
যে বৃদ্ধের শেষ বয়সে ভিক্ষার থালা সম্বল;
তার কাছে ক্ষুধা একটি আফসোসের নাম,
বৃদ্ধের মূল ক্ষুধা আহারে নয়;
সন্তানদের সংসারে স্থান না-পাওয়ার ক্ষুধা,
অসুখে ভরসার হাত কপালে না-ছুঁয়ে দেয়ার ক্ষুধা,
‘বাবা’ ডাকের শব্দ কানের কুহরে প্রবেশ না-করার ক্ষুধা!
মূলত ক্ষুধার প্রতিটা পৃষ্ঠা নতুন চরিত্র সৃষ্টি করে।