চিহ্নের কোনো কারুকাজ নেই, নেই লাল সাদা ফলক,
না আছে প্রণয়ে উদ্ভাসিত সুক্ষ্ম চিরল চারা, না আছে চারু সুখের স্মৃতি।  
সে এক অজানা গহীন অরণ্য, সে এক সুফলা বিজন মাঠ
সে, কেবল সুখ নামক একটা পাখির দেখা পাবে বলে, দুদণ্ড কথা বলবে বলে, একবার তারে ছুঁয়ে দেখবে বলে
নিঃশব্দে নিঃসঙ্গ ঋজু পথ একা হাঁটে, ঝড়ের রাতে পাশ ফিরে শুয়ে সব ঝঞ্জাকে এক নিমেশেই মিথ্যে করে দেয়
তাবত দুনিয়ার দুঃখ, ক্লেশ, জড়া, সুতীব্র হাহাকার, গহীন শূন্যতাকে টেনে নিয়ে চলে তার পা
অথচ কী দারুণ সহিষ্ণু তার চোখ, কী অপরুপ তার ভাষা
যেনো এক দীঘল সবুজ খেলা করে তার ভ্রু যুগলে।
তার বুকজুড়ে পাখির কলতান, নকশি কাঁথা
সবুজ প্রান্তর আর স্বর্ণালি ঝর্ণা গড়িয়ে গেছে তার কোমরে।
সমকালে প্রকাশিত শিল্পের সকল শাখায় নিরঙ্কুশ বিজয় হয়েছে তার
অথচ সে কোন প্রতিযোগিতার অংশ নয়।
সে কেবল এক শিল্পীর অবহেলার আঁচড়, সৃষ্টির আদিম অসুখ
তার কোনো সখ্যতা নেই লোকালয়ে; কেবল নির্জনে তার পূজা করে ভণ্ড তান্ত্রিক।
সব কিংবা যে কোনো ফুল তার বেদীতে উঠে, সব অপরাধ মার্জনা হয়
শুধু রেহাই নেই হঠকারিতা আর অপমৃত্যুর।
সেই দেবী, যার কোনো চাক্ষুষ প্রতিমা নেই
যার শরীরে শাড়ির মতো পেঁচিয়ে আছে অজস্র মৃত্যু, তাকে ছুঁলে
পাপ আর পূন্যের বোধ লুন্ঠিত হয় অবগুণ্ঠনে -
বিষাক্ত রাত তার চুরিতে গভীর কুয়ার মতো ঘুমন্ত ঘুঙুর,
ইশারায় আগ্রাসী অন্ধকার সবকিছু গিলে খায়...
ওকে পাওয়ার বাসনা একটা নিজস্ব স্বত্তাকে প্রতিনিয়ত ধ্বংস করে যাচ্ছে
নরক আর মর্ত্যের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে থাকা যুবক;
তার চিবুকে উজ্জ্বলতম তিলক, আর দুই চোখে শীতল নদী।
তারে সে যতোই ভালোবাসে, ততোই সে অতলে ডুবে যায়
উত্তরণের পথ কিংবা আশা এখানে নেই, শুধুই অস্তিত্ব রেখে যায় নিরেট বর্তমান।


২৫শে এপ্রিল ২০২০