শোকের তিমিরে ডুবে গেছে লুব্ধক,
চারদিক ক্রমশ সরু হয়ে আসে, দৃষ্টি ক্ষীণতর
তার নিজস্ব কোনো আলো নেই।
স্থুলকায় সব শূন্যতা জাপটে ধরে, উদ্ধত অন্ধকার শ্বাসরোধ করে নেয়
মৃদু স্পন্দন শোনা যায় কেবল ঘরময়।
স্রোতস্বিনীর তেজ যেনো শান দেওয়া তলোয়ার হয়ে উঠে
ছিঁড়ে দিতে যায় সৃষ্টির সকল শবের মুণ্ডু,
অসহায়ত্ব আঁকড়ে রাখে তবু, বিপুল উৎসাহে এগিয়ে আসে তপ্ত মিছিল।
অদৃষ্ট কিছুটা ঝাপসা হউক চোখে, ঠাউর করে তবু হাঁটা যায়
চোখ দিয়ে তবু কিছুটা দেখি! কিছুটা কাজে লাগুক ইন্দ্রিয়ের ধার!
এ যেনো খুলির ভেতর শূন্য মস্তিষ্কের উপহাস!
সৃষ্টির অসহায়ত্ব দেখে কি তবে ঈশ্বর নিশ্চুপ তামাশা করে?
নাকি এ কেবল সৃষ্টির ভ্রম, শুধু স্রষ্টা হয়ে উঠার অন্তরায়?
শ্লোগানে ভারী হয়ে আসে মিছিলের ওজন, দলে ভিড়ে যায় ছদ্মবেশী নেকড়ে;
কাকে বিশ্বাস করে তুলে দেবো অমৃতের গোপন রহস্য?
নাকি কেবল স্রষ্টার মতো নিভৃতে কেঁদে যাবে এক টুকরো জীবন?
ভুল পথ তবু কিছু বিছানো থাক, আলপথে ভেঙে যাক বিভেদ
সব শোক নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক, একটা ফুল ফুটুক আজ।

১৪ জুলাই ২০২০