ইচ্ছে করে কেরোসিনে পুড়িয়ে দেই এই দহন
জ্বেলে দেই হাজার ওয়াটের বাতি অন্ধকারের বুকে
বিষাদের পেয়ালায় আরো দুই চামচ চিনি বাড়িয়ে দেই...
বিস্বাদের কোনো স্বাদ নেই কেনো?
তেতো ও তো জিহবায় লাগে, বোঝা যায় বেঁচে আছি।
আলোর প্রতিবিম্বে এতো আঁধার কেনো? এতো উঁচু ঝলকানি কেনো?
কেনো আলোর এতো বিশদ বিবরণ?
ইচ্ছে করে নৈশব্দের গোড়ালিতে বেঁধে দেই ঘুঙুর
শব্দহীনতার সুডৌল নিতম্বে নৃত্য করে শূন্যতা।
আড়ম্বরহীন উৎসবে দোসর টিকটিকি মাননীয়
তাদের রক্তকেও হারিয়ে দিয়েছে নিশ্চল শীতলতা,
নিষ্প্রভ শূন্যতার কুশপুত্তলিকা পূর্ণ চোখে এতোটা লোভনীয়
যার সাহচর্যে দিনযাপন নিদানপক্ষে অসম্ভব অসহ্যকর।
শিম ফুলের সৌন্দর্য কিংবা শীতার্ত বাঁধাকপি নিতান্ত নাজুক
আলপথে বিভক্ত হয়ে গেছে ফসলের মাঠ আর ক্যালেন্ডারে নভেম্বর।
খরচের খাতায় আগাছা, কলমে অবহেলার রাজত্ব
জানালার কাঁচে উষ্ণতা নিয়ে নির্জন আহবান শূন্যতার!
বেঁচে থাকা মর্মে মৃত গোলাপের শোক নিষ্কণ্টক নিভৃত
শ্লোগানে শ্লোগানে বিদগ্ধ বিভোর-প্রণয়ের গর্জন।

২২ই জুন ২০২০