চাইলেই একটা প্রেমের কবিতা লিখে ফেলতে পারি, অনায়াসেই।
যেনো পৃথিবীতে গাছ কিংবা বায়ু আসার আগেই এসেছে প্রেম!
যেনো পানির পরিবর্তে মানুষ পুষ্পাঞ্জলি সঁপেছে প্রেমের বেদিতে।
প্রেমের শরীরে কালো রক্তের ছোপ, কালশিটে হয়ে আছে বিশ্বাস।
এই প্রেমের শর্তে রাজপথ রক্তাক্ত হয়েছে আগেও, এর আগেও
ভিজেছে আসাদের শার্ট, রউফ এবং নূর হোসেনের জন্ম জন্মান্তরের ইতিহাস;
তিতুমীর যাদের পথিকৃৎ।
কিন্তু?
প্রেম বলতে যা বুঝি, তার জন্যে আর কতো রক্তাক্ত হবে এই মাটি?
পুরনো খাবল কতোটুকু তুলে নিবে মাটি? বিষাক্ত নিশ্বাস কতোটুকু পোড়াবে?
বার বার ভেঙে গিয়েও শিরদাঁড়ায় ভ্রহ্মাণ্ডের সকল শক্তি একত্র করে,
চোখ রাঙিয়ে তাকাতে পারে বোলেই, শত্রুর বায়োনেট-বুলেট-বোমা উপেক্ষা করে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে বোলেই, বর্বরদের এতো আক্রোশ!
নাকি এই মাটি মস্তিষ্কে এবং ফসলে উর্বর বলেই এতো আঘাত?
এমন তো হওয়ার কথা ছিলো না; এক স্বাপ্নিক স্বপ্নের পিছু ছুটে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে প্রমাণ কোরে গেছেন প্রেম।


প্রেমিকদের আর কখনো জিজ্ঞেস করো না তারা কেমন আছে।
হয়তো এক আশ্চর্য হৃদয় কেঁদে উঠবে আদিম প্রেম নিয়ে বুকে,
অথবা এক উদ্ভাসিত মৃত্যু অনুনয় চোখে তোমাকে চাইবে।


এই দেশ আমার অচেনা লাগে।
আমি চিনতে পারিনা তাদের মুখ, তাদের নাম শুনিনি আগে কখনো।
কাহনের সুর দূর থেকে ভেসে আসে, শোনা যায় এক
মা আকাশ থেকে বৃষ্টি নামাচ্ছে ঘুম পাড়ানির গান গেয়ে।
বৃষ্টি কি শুধু আকাশের চোখে? আকাশ কি কাঁদবে বলেই এতো নীল?
ভালোবাসি বোলেই কি এই হাহাকার? কেউ কি নেই একবার হাত ছুঁয়ে দেখাবে -
কতোটা নিঃশব্দে শ্বাস নিলে টের পাবেনা দেয়াল ঘড়ি?
রাত কতোটা গভীর হলে গোপন হবে একেকটা লাশ?
স্বাধীনতার নামে কতোভাবে লুকাবো গোপন দীর্ঘশ্বাস?
আমরা কি বাঁচতে শিখবো না?


৭ই অক্টোবর, ২০১৯