এই মৃত্যুর শহর আমার অসহ্য লাগে,
যদিও জানি মৃত্যু ছাড়া ভিন্ন কোনো গন্তব্য নেই।
রোজ সকালে আড়মোড়া ভেঙে যে শ্রমিক জীবনের আন্দোলনে যায়,
সমস্ত মমতা নিয়ে যে দর্জি সেলাই করে, টঙের দোকানি চা বানায়;
সেও জানে মৃত্যুই শেষ গন্তব্য।
তবুও নিরন্তর এই যাপিত জীবন এবং অনুনয় চোখ।
এই নিয়ে যেই প্রতিবাদ তুলেছে দৃপ্তকণ্ঠে, জীবিকার তাগিদে সেও
মৃত্যুর কাছে হার মেনে নেতিয়ে গেছে।


ভালোবেসে যেই আঁকড়ে ধরেছে, চোখের জলে ভিজিয়েছে চিবুক;
গড়িয়ে পড়া জল সাক্ষী দিয়েছে বুকের ভেতর ঘুমিয়ে পড়া এক নদী আছে।
কেউ কেউ আলেয়াকে আশা ভেবে ভুলের ভেতর বাগিচা গড়ে,
কেউ কেউ পুষে রাখে আল্পনার রঙ।


যতোই আকাশ ডাকুক, বিদ্যুৎ চমকাক, মেঘ সরে মোহের ফাল্গুন আসুক-
সূর্যের মেয়ে সূর্যমুখীর আকুতি বিফলই থেকে যাবে।
একটা আকাশ দুঃখ লুকিয়ে রাখবে চোখের নীলে, আর-
প্রার্থনার রাত ফুরিয়ে আসবে চোখের ঝিলে।


জানি, নিঃসঙ্গতার কোনো সঙ্গা নেই,
ধ্বংসের কোনো প্রতিরুপ নেই,
বিষাদের কোনো ভাষা নেই,
আকাশের কোনো কান্না নেই,
হাহাকারের কোনো শব্দ নেই,
নিস্তব্ধতার কোনো পা নেই,
আর জানি,
এই এক জীবনের মৃত্যু ভিন্ন কোনো গন্তব্য নেই।


২৫শে অক্টোবর, ২০১৯