গোপন এক দগদগে ক্ষত অবর্ণনীয় ব্যথা নিয়ে জেগে আছে
সময়ের অভ্যন্তরে -
দরোজায় টোকা দিয়ে যায় অজ্ঞাত আততায়ী, তাকে বসিয়ে রাখি অনন্তের অপেক্ষা গৃহে।
সুন্দরের পূজা শুরু হতেই অকস্মাৎ আগুন জ্বলে উঠে বিস্মৃতির গুদামে
তাকিয়ে দেখি কেউ নেই, কেউ কোথাও নেই, শুধু -
দূর থেকে ভেসে আসে হাসির অট্টরোল আর শুনতে পাই - কারা যেনো দৌড়ে আসছে এদিকে, হয়তো কারো হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ কিংবা সাক্ষাৎ মৃত্যু!
কেউ আসে না... শুধু উপেক্ষা আর অবহেলার রুক্ষ শরীরে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ক্লান্ত রাত।  
সমস্ত ঘৃণা দিয়ে তাকে ঠেলে দেই ধ্বংসের দিকে-
কিন্তু অনিবার্য মৃত্যু থেকেও কি কোরে কেউ ছিনিয়ে আনতে পারে ফুটন্ত গোলাপ?
বিস্মৃতির কোষাগারে আরো কিছু ব্যর্থতা যোগ হয়, যেখানে অপ্রেমের সাথে প্রেম আর সন্ধির সাথে যুদ্ধের বিরাট ফারাক
সেই যুদ্ধ ময়দানে ঝুলে আছে বেবিলনের শূন্যতা...
তাকে ধাক্কা দেই স্বপ্নের আরো কিছুটা কাছাকাছি পৌঁছে যেতে -
বুকের ভেতর একটা উদ্যান জেগে উঠুক, তাতে কিছু ফুল কিংবা একটা দু'টো প্রজাপতি উড়ে গিয়ে বসুক প্রেম ও অপ্রেমের মধ্যকার অনিকেতে।
দুঃস্বপ্নের ঠোঁট উষ্ণ চুম্বনরস ভেবে পান করে গেছে যাবতীয় বিষ, নষ্ট রাতের হলুদ আলো, নিঃসঙ্গতার কালচে লাল রক্ত৷
তাকে অন্ধকারের সিন্ধুকে বন্দি করে রাখি, বুদ্ধিহীন কাক চাবি গিলে নেয় অনায়াসে -
উড্ডীয়মান উল্লাসে সে ফিরে যায় শান্তি অন্বেষণে, অথচ বোকা পাখি জানে না শান্তি আছে কেবল উচ্ছন্নে যাওয়া এক প্রেমিকার কনিষ্ঠায়।
মৃত্যুর এতোটা কাছাকাছি এসেও কেনো হাত বাড়িয়ে তাকে ছুঁয়ে ফেলা যায় না? তাই, হতাশার শেষ সম্ভাবনা আলিঙ্গন কোরে -
অন্ধকার - যাবতীয় মৃত্যুর সমষ্টি - পাখির বাঁকা ঠোঁট - হেমলকের বিষাদ, যুদ্ধ কিংবা সকল অনাসৃষ্টিকে জিজ্ঞেস করি,
স্মৃতি কেনো তোমাকে ভুলে যেতে পারেনা?


২০ই জুন ২০২০