একবার খুলে দাও রুদ্ধ দুয়ার, খুলে দাও স্পৃহার অস্পৃশ্যতা
চোখ রাখো এই আজন্ম পিপাসিত চোখে,
তুমি একবার তাকালেই আঁখি পল্লবে ফুটাবো প্রেমের ফুল।
ঘুরে তাকাও প্রিয়ো, চোখ রাখো ধ্বংসের চোখে,
ভেঙেচুরে দাও ধ্বংসের স্বরুপ। ধ্বংসকে ভেঙে দিয়ে তুলে নাও উৎপাদনশীল বীজ।


রোদ্দুরের পর এক বিস্মিত বর্ষা হলে তুমি,
ভেজালে কৃষ্ণনীলে, ভেজালে বিস্মিত বরষায়।
কদমের দেশে এক হলুদাভ অনল হলে, কুসুমের ভেতর হলে কৌতুহল
জানালে কেমন করে প্রান্তিক কৃষক বেঁচে থাকে।
বোঝালে এই চাঁদ নিতান্ত তুচ্ছ কারো জন্য নয়, নির্দিষ্ট নগরে যার বাড়ি সেই শুধু অধিকার রাখে ছুঁয়ে দেখার,
পোড়ালে নিপীড়িত হৃদয় আবার।


এমন করে কেনো খুললে উপেক্ষার দুয়ার উদাম দুপুরে?
উত্তাপ ছড়ালে মলিন হৃদয় জুড়ে, ধুলোজমা অনন্তের অন্তরীক্ষে হয়ে গেলে এক নিরব তারা।
সময়ের সাপেক্ষে ব্যস্তানুপাতিক অবহেলা বাড়িয়েছো তিল থেকে তালে,
এমন করে ঠিক, না পোড়ালেও পারতে, পারতে উড়িয়ে দিতে যেমন ভাবে হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলে প্রত্যাখ্যান নিবিড় বুকে।


এখানেই শেষ নয় জেনো
প্রিয়ো, এখানেই শেষ নয় পথচলা।


প্রত্যাখ্যানের বুক চিঁড়ে আসবে নতুন ভোর,
ভিজবে আবার গন্ধরাজ বিষণ্ণতার বর্ষায়।
অপেক্ষা রবে উপেক্ষা ভুলে, জীবন যেখানে রক্তের নদী
একটা রঙিন স্বপ্ন এই বিধ্বস্ত করোটিতে ফুটাবে শাশ্বত ফুল।


১৯ এপ্রিল, '১৯