কোনো মঞ্চের প্রয়োজন নেই,
নির্দিষ্ট কেউ এসে দাঁড়াবে না চশমা চোখে।
কোনো মাইক লাগবে না,
শোকবার্তা প্রচারিত হবে শেকড় থেকে পাতায়
পিপড়া পৌঁছে দেবে সকল প্রাণের কর্ণকুহরে।
মৃতরাও বাদ যাবেনা এই মিছিল থেকে
পায়ে পায়ে যোগ হবে লেনিন, রোমিও আর তিতুমীর
অজানা থেকে কিংবদন্তী, নশ্বর থেকে চিরস্থায়ী, ধুসর ও সবুজ
সবাই এক কাতারে জমায়েত হবে, সবার চোখে কেবল একই প্রশ্ন...
কেনো এখানে বেড়াতে আসা? এখানে তো কেবলই শূন্যতা!
কেউ কারো সময়ের বাসিন্দা নয় অথচ আলিঙ্গন হবে বন্ধুর চেয়ে দৃঢ়।
শোকের তিমির ভারী জমাট দীর্ঘশ্বাস জড়িয়ে নেওয়ার আগেই
ঘনীভূত হবে আক্রোশ, জমাট বাঁধবে বিদ্রোহ, তীব্র হবে বুকের উঠানামা।
জীর্ণ শোকে আজ শ্লোগানই বারুদ, দীপ্ত চোখ সাহসী ট্রিগার-
কিন্তু বুকপকেটে জখম আর আধলেখা চিঠি আর
তাতে স্পষ্ট অক্ষরে লেখা, "গোলাপ আনতে পারিনি বলে, রাগ করো না।
প্রিয়তমা, ফুসফুস আর হৃৎপিণ্ডের যন্ত্রপাতি যদি পাকস্থলীর কারখানায় শ্রম না দেয় তবে ঘ্রাণেন্দ্রিয় কোনো কাজের নয়, তবে..." -
এরপর অক্ষরেরা তাদের খিদা মেটাতে গেছে ফুলের কাছে, আর পাখিরা সাঁতার কেটেছে অনিকেত থেকে লোকালয়।
উন্মাদ খিদার রাজ্যে ট্রেন দ্রুতগামী, আর চোখ নিষিদ্ধ আয়না -
আন্দাজে শামুক আর নীলতিমি অন্ধকার পেরিয়ে যায়,
এতোক্ষণে সরব হলো জমায়েত, এক কোণা থেকে প্রশ্ন উঠে এলো,
"তবে কেনো ডেকে আনা হলো আমাদের, আমাদের প্রতি অবহেলা যদি এতোটাই তীব্র হয় তাহলে কেনো এই স্বীকারোক্তি?
জীবন্ত কিংবা অসাড় চিন্তার স্বাধীনতা যদি নাই থাকে, কেনো উদ্রেক করা হলো মস্তিষ্কে? নাকি তার নিজস্ব কোনো পেট নেই?"।


২৪শে এপ্রিল ২০২০