হঠাৎ চারপাশ স্তব্ধ;থেমে যাবে আলো আঁধারের গুঞ্জন।
বিদায়ের ডাক;-এ আত্নার বুক বাঁধা শিকল হতে মুক্তি মিলেছে!
খুব সন্তর্পনে ধরণীর ক্ষণগুলো নিশ্চুপ হয়ে যাবে।
হঠাৎ করেই এমন নিষ্ঠুর পরিহাসের মহাযাত্রায় নিঃস্ব সফর হবে আমার!
কর্ণপাত হবে না সেদিন বর্ণপরিচয়ে শ্রেষ্ঠত্বের বিচার!
শুনবে না ডুকরে ক্রন্দনরত ফিরে আসার ধ্বনি।
ডায়েরীর অপূর্ণ পৃষ্ঠা জুড়ে না পাওয়ার হাহাকার জানবে না নির্জীব সত্তা!
গল্পের মতো ভালো-খারাপের চাহিদায় মাপা হবে আমার চরিত্র!
মুহুর্তেই সন্ধ্যের নীড়ে ফেরা পাখিরা আদরে আগলে রাখবে পরিজনদের!
বছর ঘুরে সময়ের অনুরোধে- স্মরণীত হবো আপনজনদের।
মর্তলোকে বেনামে নামটা উধাও হতে থাকবে!


আমায় না পেয়ে শূন্য হাতে বিদ্যালয় পথে বসে থাকা ভিখিরিটা আর পিছু ফিরে ডাকবে না।
দৃশ্যমান যতো অবহেলা ছিলো- অধরা হয়ে আমায় নিঁখোজ দেখবে।
বসত ঘরের মরিচা ধরা জানালাটায় মাকড়সার জালের বিস্তার ঘটবে!
নতুন স্পর্শ খুলে দেবে -চাদরে আঁকা গোলাপগুলোয় জড়িয়ে থাকা সুবাস বুঝবে না কেউ!
অভ্যাসগত ব্রাশটাও মাটিতে  পরিত্যক্ত হয়ে আমার মতোই মিশে যাবে!
এই হঠাৎ-ই মৃত্যুর রহস্যে ঘেরা শহরের বাসিন্দাদের সাথে একিভূত হবো।
চিরায়ত দৃষ্টিগোচর হতে হতে- সমাহিত করার স্থানটি ঢেকে যাবে প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টিতে।
সে আমি;অনন্তলোকের আঁধার সীমানায়,অসীম ব্যাপ্তিকাল জুড়ে পড়েই রইবো !