আলহামদুলিল্লাহ।
সমস্ত প্রশংসা মহান রব্বুল আলামীন এর জন্য।


কব্যিক স্বপ্ন
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন


মনের ভেতর জমে থাকা একটা স্বপ্ন। অন্ততপক্ষে একটা লিখা বইয়ে ছাপানো এবং লেখা সংরক্ষণ করার কোনো পন্থা।
কেননা, ১৯৯৭ সাল সপ্তম শ্রেণি থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত যত লেখা ছিলো আমার খাতায়, তা নষ্ট হয়ে যায় এক কাপড়ের দোকান থেকে।


প্রশ্নঃ
কাপড়ের দোকানে খাতা গেলো কীভাবে?
উত্তরঃ বাড়ির পাশের একজন বলেছিলো,
মামা!  আপনার গান কবিতার কাতাটা দেখবো,
আপনার গান কবিতাগুলো দেখবো।
তাতে সেই কাব্যে লেখা পূর্ণ খাতাটি দিলাম। বেচার সকালে পড়বে বলো খাতাটা দোকানে রেখে দেয় এবং সেই দোকানে রাত্রে কারেন্টের আগুন লাগে। তাদের ছিট কাপড়ের সাথে আমার খাতাটাও পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আমি খুবই অনুতপ্ত হই।


এর পর খোজাখুজি শুরু করি অনলাইন ওয়েবসাইট এবং খুঁজে পাই বাংলা কবিতা ডটকম ও বেঙ্গলী প্রতিলিপি এবং সেখানেই মনের গহীনের না বলা কথাগুলো লিপিবদ্ধ করতে থাকি কাব্যিক ছন্দে।
আমার লেখা দেখে বাংলা কবিতা ডটকমের কবি নাজমুল হাসান আমাকে যৌথ বইতে অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানায়। তার আমন্ত্রণে আমার প্রথম যৌথ কাব্য গ্রন্থে কবি অবিরুদ্ধ মাহমুদ ওরফে তোফাজ্জল হোসেনের এর সম্পাদনায়। এর কয়েকটি যৌথ কাব্য গ্রন্থ বের হয়।
তবুও যেন মনের ভেতর কিছু স্বপ্ন থেকে যায়।
অন্ততপক্ষে একটা হলেও সম্পাদনা করবো।


২০২১ সাল।
অন্তত পক্ষে একটি বইয়ের সম্পাদক হওয়ার প্রবল ইচ্ছে ছিলো আমার। সবচেয়ে কাছের যে মানুষটির কাছে বই করেছিলাম এবং একই সাহিত্য গ্রুপে লেখালেখি করেছিলাম।
প্রথমে তাকেই অফারটি করি। তিনি রাজিও হলেন। আমি একটি বইয়ের নামও দিলাম "স্বর্গে ফোটা ফুল"। তিনি পছন্দ করলেন। কিন্তু বইটির কাজ করলেন না। অন্য বইয়ের কাজ শুরু করলেন।  আমি মনে ভীষণ কষ্ট পেলাম। এরই মধ্যে শুরু হয় আন্তর্জাতিক কবি সাহিত্য পরিষদ এর সাথে তুমুল যুদ্ধ বাল্যবিবাহ নিয়ে। তাদের সাথে মতের মিল না হওয়ার কারণে এখানেও মনে অনেক কষ্ট পেলাম। সঙ্গ ছাড়লাম তাদের। আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে শুরু হলো নতুন করে নতুন  প্রচেষ্টা। নতুন বইয়ের নাম নির্ধারণ করলাম "মিষ্টি প্রেমের ছোঁয়া" এবং প্রকাশনী খুঁজতে থাকলাম। অবশেষে পেলাম নবকণ্ঠ প্রকাশনী। তিনি এ বইয়ের নাম শুনে অত্যন্ত খুশি হলেন এবং আমাকে আশ্বাস দিলেন। এ প্রকাশনী দিয়ে শুরু হলো আমার সর্বপ্রথম সম্পাদনার কাজ "মিষ্টি প্রেমের ছোঁয়া" আল্লাহর অশেষ রহমতে সাকসেস হলাম - আলহামদুলিল্লাহ।


এরপর শুরু হলো ধারাবাহিকভাবে একের পর এক সম্পাদনার কাজ। আমাকে অনেকে অফার করতে শুরু করলো, "ভাই আমাকে আপনার সাথে একটা সম্পাদনায় নেন"। আমি মনে ভাবি আমিও একদিন এমনই অফার করেছিলাম, আমার মনেও এমন স্বপ্ন ছিলো। আল্লাহর অশেষ রহমতে তা পূরণ হয়েছে। আমি যেমন কষ্ট পেয়েছি, তাদের তেমন কষ্ট পেতে দেবো না।  আমি যাদের কথা দিয়েছিলাম, এক এক করে তাদের সবাইকে আমার সাথে সম্পাদনায় নিলাম।
সেই সব প্রিয় কবি বন্ধুদের নাম হলো,


১/ মাওলানা তাজুল ইসলাম নাহীদ
গ্রন্থঃ জান্নাতের ফুল ও স্বর্গে ফোটা ফুল।


২/ মোসাঃ মাহমুদা খাতুন - মদিনার ফুল।


৩/ মোসাঃ জান্নাতুন ফেরদৌস - হৃদয়ের স্নিগ্ধতা।


৪/ মোঃ জাহিদুল ইসলাম - বাবা মানে বৃক্ষ ছায়া।


৫/ মাফিয়া ময়না - সবুজ বাংলা।


ইনাদেরকে কোনো কাজই করতে হয়নি। সম্পূর্ণ কাজ আমি করেছি তবুও তাদের সাথে নিয়ে কাজ করেছি।


সবচেয়ে মজার বিষয় হলো,
যে কাব্য গ্রন্থটির বিষয়ে বলেছিলেন অন্য এক সম্পাদককে আমাকে সাথে নিতে; যা ইতিপূর্বেই উপরে আলোচিত হয়েছে। সে বইটি আল্লাহ পাক আমাকে নিজেই সম্পাদনা করার তৌফিক দান করেছেন মাওলানা তাজুল ইসলাম নাহীদ কে সাথে নিয়ে "স্বর্গে ফোটা ফুল" অষ্টমতম যৌথ কাব্য গ্রন্থ।


মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া আলহামদুলিল্লাহ। এ যাবৎ ১৫ টি নিজ সংকলনে,১১টি অন্যের সংকলনে মোট যৌথ কাব্য গ্রন্থ ২৬টি এবং ৩টি একক কাব্য গ্রন্থের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সর্বমোট যৌথ ও একক মিলে ২৯ রি কাব্য গ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছে গত ২০২০,২১ ও ২২ সালের মধ্যে।
একক সর্ব প্রথম কাব্য গ্রন্থঃ
১/ প্রেমের সম্ভাষণ,
এরপর  
২/ সংগ্রামী জীবন ও
৩/ ইতি কথা ( উপন্যাস) ।


আমার মূল কথা হলো,
একজনের হলেও আমার দ্বারা মহান রাব্বুল আলামীন তার স্বপ্ন পূরণ করেছেন।
মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে আবারও লাখো কোটি শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি - আলহামদুলিল্লাহ।


পরিশেষে এত সুন্দর মনোভাব প্রকাশ করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বাংলা কবিতা ডটকমের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এ আসরের সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা, এডমিন ও কবি লেখক সাহিত্যিক এবং পাঠক পাঠিকাদের প্রতি রইলো নিরন্তর ভালোবাসা প্রীতি ও শুভেচ্ছা। সবাই ভালো থাকবেন, আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনাদের সকলের প্রতি দোয়া ও শুভকামনা রইল।