বাবুই পাখির শিক্ষা
ইব্রাহিম হোসেন
স্বরবৃত্ত ছন্দ : ৪+৪+৪


বাবুই পাখি ঘর বেঁধেছে তালের গাছে,
তাই দেখে আজ আঙ্গিনাতে খোকা নাচে।
চড়ুই পাখি বাসা বাঁধে পরের ঘরে,
থাকে নাকি মহাসুখে বড়াই করে।
মুচকি হেসে বাবুই বলে প্রাণ তো বাঁচে।


চড়ুই বলে দুখ-সাগরে শান্তিকামী,
রৌদ্র খরায় কষ্ট করো দিবাযামী।
প্রাণের ঝুঁকি আছে সেথা নিত্য বুঝো,
গতর ভিজে ক্লান্ত দেহে আঁখি বুজো।
অট্টালিকায় তৃপ্তি মনে থাকি আমি।


বাবুই বলে সুখ আছে যে তাতেই আমার,
চাই নাই আমি দালানকোঠা শখের খামার।
তৃণলতা দিয়ে গড়া খাসা বাসা,
রঙিন স্বপ্ন পূর্ণ আমার সকল আশা।
লাভ কি আছে গাড়ি-বাড়ি থাকলে মামার?


ঝড় বাদলে অঝোর ধারায় বৃষ্টি ধারা,
ঝরবে যখন মালিক মশাই করবে তাড়া।
সুখের নিদ্রা হারাম হবে জেনে রেখো,
থাকতে সময় নিজের তরে কিছু শেখো।
ঝরবে আঁখি হবে তখন সর্বহারা।
===================


ক্ষ্যাপার প্রেম
ইব্রাহিম হোসেন


ক্ষ্যাপা নামের একডা ছ্যামড়া
লদ্দিধারে বাস,
মাইয়্যা দেখলে খিলখিলিয়্যা
আসে মুখে হাস।


খালাতো বোন, মামাতো বোন
টুম্মা রুম্পা নাম,
দেখলে ক্ষ্যাপায় ল্যাং মারা আর
চিমটি কাটায় কাম।


ফুফাতো বোন,চাচাতো বোন
দেয় লুঙ্গিতে টান,
ধপ করে সে পইড়া গিয়্যা
হারিয়্যা ফেলে জ্ঞান।


ছোট্ট শালি ছুট্ট্যা আইস্যা
ট্যান্যা ধরে কান,
কানের ভিতর মশা ঢুক্যা
জোরসে গাহে গান।


জন্মের আগের গার্ল ফ্রেন্ডে তার
মল্যা ধরে নাক,
হারামজাদা লুঙ্গি খুইল্যা
ঢাক্ তোর মাথার টাক।


প্রেমের জ্বালায় জইল্যা পুইড়্যা
ডাকে মারে বাপ,
আর করুম না প্রেম'রে আমি
কইরা দেনা মাফ।
==========