চাকরের ঈদ
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন


কোরবানির ঈদ আসলো
কিনলো ধনী গরু,
পায়েস খাবে পোলাও খাবে
খুশি ঘরের জরু। ।


জিলহজের দশ তারিখে
কোরবানি যে করে,
নতুন ফ্রিজে মাংসগুলো
যত্ন করে ভরে।


চাকরগুলো বাড়ির দ্বারে
অপেক্ষাতে থাকে,
মালিক বেটা মাংস দিবে
আল্লাহকে ডাকে।


হাড্ডি আর চর্বি যত
ভিন্ন করে রাঁধে,
কোরবানির গোস্তো খেয়ে
চাকরগুলো কাঁদে।


খোদার কাছে দুহাত তুলে
প্রার্থনাতে বলে,
তুষ্ট তারা এই খাবারে
ভাসে নয়ন জলে।
==========


বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ-
আমার চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনা।
ধনীর দুলাল, ধনীরা গোটা গোটা গরু কোরবানি দিয়ে কোরবানির মাংসগুলো নতুন কিংবা পুরানো ফ্রিজে মাস কিংবা বছর ধরে খাওয়ার জন্য। নিজেরা ভালো ভালো মাংসগুলো, ভালো ভালো রানগুলো আলাদা করে রান্না করে খায়। আর বাড়ির চাকর বাকর কে হাড্ডি, চর্বি ফুসফুসে গুলো আলাদা করে রান্না করে দিয়ে থাকে। তারা মনের দুঃখে চোখের পানি ফেলতে ফেলতে বলে ইয়া আল্লাহ!  আমরা এমনই মানুষ, আমাদের ভাগ্যে কোরবানির একটুকরো মাংস ও জোটে না। আল্লাহ তোমার দ্বারে লাখ লাখ শুকরিয়া। আজও আমরা বেঁচে আছি তোমার দয়া ও মেহেরবানিতে।