এক গুচ্ছ কবিতা
ইব্রাহিম হোসেন


(১)
দখিন হাওয়া বইতে থাকে বিকেল বেলা নদীর ধার,
দিনের শেষে ক্লান্ত মনে বঁধুরা সব একাকার।
পল্লী গাঁয়ের কোমলমতি কন্যারা যে উড়ায় চুল,
সন্ধ্যা লগন গোধূলির রঙ দেখতে লাগে চমৎকার।


(২)
নৌকা মাঝি পাল তুলে যায় মাছ ধরিতে নদীর মাঝ,
হাল্কা ঢেউয়ে নৌকা দোলে কী অপরূপ নদীর সাজ!
একটু পরে আযান ফুঁকে মুয়াজ্জিনে মিনার পর,
নায়েব পরে নামাজ পড়ে প্রার্থনাতে খোদার নাজ।


(৩)


চন্দ্র মামা নীলাম্বরে দেখায় হাসি রাত্রিকাল,
ভাটিয়ালি গানের সুরে মাঝিরা বায় নৌকা হাল।
আকাশ ভরা তারার মেলা মিটিমিটি উঁকি দেয়,
মাঝ-নদীতে চন্দ্রালোকে মন হরষে ফেলে জাল।


(৪)
মা-ঝিয়েরা সকাল বেলা ব্যস্ত থাকে নানান কাজ,
নতুন বধূ ভোর-বিহানে ঘোমটা দিয়ে পায় যে লাজ।
মা যে ডাকে বৌমা এসো নাস্তা করার সময় হয়,
আনবে খোকা মাছের ঢাকি সেই যে গেছে কালকে সাঁঝ।


(৫)
সকাল বেলা খোকা এসে মা বলে দেয় জোরসে ডাক,
আম্মু তুমি বাইরে এসো মাথায় আছে মাছের ঢাক।
রাত্রি জেগে মাছ ধরেছি বেচতে যাবো বাজারে,
আনবো শাড়ী গয়নাগাটি ফুটবে মুখে খুশির বাক।