চার বিবি  
ইব্রাহিম হোসেন  


সৃষ্টি করে মাওলা, প্রভু লোভ-লালসার ভুবনে,
চারটি করে বউ দিলেন সব মানুষের জীবনে।


কেউ জানে না, কেউ বা জানে বৌয়ের কাহিনী ,
আসলে মরণ পালিয়ে যাবে প্রাণের বৌ-রানী।


মৃত্যু যখন আসবে কাছে বলবে ডেকে তুমি,
কাছে এসো ছোট্ট বিবি ডাকি তোমায় আমি।


তুমি চার নাম্বার শ্রেষ্ঠ বউ আমার জীবনে ,
অনেক ভালোবাসি তোমায় চলো আমার সনে।


কেমনে বলো তোমার সাথে যাব আমি গোরে ?
রুপ যৌবন সবই আছে থাকো গেলাম ওরে।


তিন নাম্বার বিবি তোমার আসবে কাছে যখন,
ভাববে মনে তখন তুমি এটাই বুঝি আপন।


বলবে তুমি সোনা-দানা, গয়না-গাটি যত,
সবই তোমায় ভরি ভরি দিয়েছি শত শত।


চল বিবি চলো তুমি, কেমনে রব একা ?
পরকালে একই সাথে থাকবো মোরা দুকা ।


উত্তর দিবে তোমায় তখন শোন প্রাণের স্বজন,
স্বাস্থ্য আমার অনেক ভালো, রূপে ভরা যৌবন।


আর যাব না তোমার সাথে একলা তুমি যাও,
নতুন করে বসবো বিয়ে ভাসবে সুখের নাও।


নিরাশ হয়ে বলবে তুমি দ্বিতীয় বিবি ডেকে,
অনেক ভালোবাসি তোমায়, দেখি ভালবাসার চোখে।


ওরা দুজন চলে গেল তুমি থাকো কাছে,
আসলে মরণ আমরা দুজন মরবো একই সাথে।


দ্বিতীয় বিবি বলবে তোমায় তা হবে না স্বামী,
মরণ পরে তোমার তরে করবো দোয়া খানি।


এমন সময় ডাক দিয়ে যে বলবে তোমায় কেউ,
তোমার সাথে যাব আমি যতুই কর হেয় ।


পরক্ষণে দেখবে তুমি সেটাই প্রথম বিবি,
আঁধার ঘরে রেখে যারে দিয়েছিলে  ডিবি।


অবহেলা ঘৃণার চোখে দেখেছিলে যারে,
সেই তো আপন তোমার সাথে যাবে পরপারে।


চার বিবির বর্ণনাটা বলি এখন শোন,
ছোট্ট বিবি চতুর্থটা শরীর চর্চা যেন।


তৃতীয় বিবি  হলো তোমার ধন, দৌলত, রতন,
যাকে তুমি প্রাণের চেয়েও রাখতে করে যতন।


দ্বিতীয় বিবি বন্ধু প্রিয় আপন জানের জান,
মরার পরে বহন করে নিবে গোরুস্থান ।


প্রথম বিবির কাছে যাওয়ার সময় ছিল না,
সেটাই তোমার নেক আমল ভেবে দেখো না।


থাকতে সময় করো তুমি প্রথম বিবির যতন,
কেউ হবে না আপন তোমার, কেউ হবে না স্বজন।