হতভম্ব ২০২৪
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন
রচনাঃ ০৩-০৯-২০২৪ ইং
এ কোন দেশ?.
যে দেশের সরকার নিজের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রশাসনকে কিছু অর্থের বিনিময়ে জনগণের বিরুদ্ধে স্থলপথ ও আকাশপথে লেলিয়ে দিয়ে নিজের দেশের নিরীহ প্রজাদেরকে হত্যা করে!
রাখে নির্যাতনের মাধ্যে আয়না ঘরে বন্দি।
সত্য কথা বললেই দোষ বিনাদোষে সাজানো নাটকের মিথ্যা মামলা দিয়ে ভরে রাখে জেলহাজতে বছরের পর বছর। ধ্বংস একটা জীবন, একটা পরিবার।
এমন অত্যাচারের শিকার হয় হয়েছে লাখো পরিবার ধ্বংস, ধ্বংস হয়েছে তাদের জীবন ও যৌবন।
তাজা তাজা গেছে কত নিষ্পাপ প্রাণ। হয়েছে কত মায়ের বুক খালি, কত সন্তান বাবাহারা এতিম।
আরও হয়েছে কত নারী বিধবা!
তাদের বুকে বয় বেদনার ঝড়, ভেঙেছে সুখের ঘর।
এমন যুদ্ধ সংঘটিত হয় নিজের দেশকে রক্ষা করার জন্য শুধুমাত্র বৈরী দলের সাথে। যেমন হয়েছিলো ১৯৭১ পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সঙ্গে।অকুতোভয় বাংলার দামালেরা ৯ মাস যুদ্ধ করে প্রথম স্বাধীনতা অর্জন করে।
কিন্তু এ কোন দেশ?
যে দেশে স্বৈরাচারীর ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য নিজের দেশের জনগণ হত্যা করে!!
প্রশাসন স্বৈরাচারীর গোলামী করে কোমলমতি ছাত্রসমাজের উপর বোমা বারুদ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে, বৃষ্টির মত গুলিবর্ষণ করে নির্মমভাবে তাদের হত্যা করে। দেশকে করে রক্তাক্ত!
এদের কি বিবেকে নাড়া দেয়নি?
এরা স্বার্থলোভী, নিমকহারাম, বেঈমান, নিষ্ঠুর, নরপিশাচ!
অবশেষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জানাই সম্মানের সহিত সেলুট যে,তাদের সত্যিকারের বিবেক জাগ্রত হয়েছিলো।
বশ্যতা স্বীকার করেনি স্বৈরাচারীর কাছে।
করেনি নির্মমভাবে গুলিবর্ষণ কোটা আন্দোলনকারী ছাত্রজনতার বুকে।
অবশ্যই এটা মহান আল্লাহ তা'য়ালার কুদরতি খেলা।
যার কারণে পতন হয়েছে দীর্ঘকাল যাবৎ শোষণকারী স্বৈরাচারী সরকার ও তার পোষা পাষণ্ড গুণ্ডাদের। দেশ ফিরে পেয়েছে দ্বিতীয় স্বাধীনতা। আল্লাহু আকবার।
আলহামদুলিল্লাহ।
ওয়া মাকারু ওয়া মাকারল্লাহ্।
ওয়াল্লাহু খইরুল মাকিরীন।
আল্লাহর কাছে একটাই প্রার্থনা,
আর কোনদিন কখনো কোনকালে যেন দ্বিতীয়বার এমন স্বার্থলোভী নির্মম, নিষ্ঠুর, পাষণ্ড স্বৈরাচারীর জন্ম না হয় বাংলার মাটিতে।