১/
প্রতিশোধের আগুন
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন
রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলে
একলা পথে নারী,
গাঁজা খোরে হুক্কা মুখে
বলে কোথায় বাড়ি?
পাশ কেটে সে চলে গেলে
সামনে আবার ধরে ,
যাচ্ছো কোথায় ও রুপসী
মনটা পাগল করে?
অশ্লীলতার বাণী দিয়ে
ওড়না ধরে টেনে,
চিৎকারেতে লাভ হবে না
নাও না আমায় মেনে।
শঙ্কা ভয়ে সেই মেয়েটি
দৌড় দিবে তাই বলে ,
ল্যাং মেরে সে জমিন পরে
ফেলে নানান ছলে।
একলা পেয়ে দশ জনাতে
ধর্ষণ করে তারে,
মন বাসনা পূরণ করে
গলা টিপে মারে।
খুনের বদল খুনটা যে চাই
প্রতিশোধের আগুন,
বিদ্রোহী এক কন্যা বলি
আসবে খুশির ফাগুন।
২/
কাঁচা হাতের কাঁচা লেখা
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন
লিখতে গেলে কলম ভাঙে
বলতে গেলে ভাঙে দাঁত,
নামটা নিজের করতে সহি
থরথর করে কাঁপে হাত।
ছোট্ট বলে হেলা করে
অবজ্ঞাতে দেখে সব,
একটু কেঁদে একটু হেসেই
শোক বিরহে জপি রব।
কাঁচা আমার হাতের লেখা
টিটকারিতে বলে তাই,
আমি নাকি মহাকবি
তুলনা যে আমার নাই।
এইভাবেতেই কাব্য লিখে
চৌদ্দ শত পূর্ণ আজ,
যে যা-ই বলুক যাক না বলে
অবজ্ঞা মোর শিরে তাজ।
লাখো কোটি শোকর গুজার
করি আমি হাজার বার,
যাঁর দয়াতে লিখতে পারি
প্রশংসা যে সবই তাঁর।
দুঃখ হেলায় পুষি নাকো
এর মাঝে যে শিক্ষা পাই,
কাঁচা হাতের কাঁচা লেখায়
শান্তি খুঁজে পাই'রে ভাই।