শেষ চিঠি
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন
তারিখঃ ২৪/০৫/২০২২, মঙ্গলবার


ভোলাতে পারেনি এই আঁখিজল মোর,
কাটেনি কাটেনি আজো অমানিশা ঘোর।
গলেনি তোমার কভু পাষাণী ও মন,
হয়েছে দেহের কত রুধির ক্ষরণ।


শাখেনার দ্বারা শেষ লেখাটা প্রেরণ,
রক্তের - ই চিঠি ছিলো খামে আবরণ।
প্রিয়তমা করো ক্ষমা শেষ কথা এই,
তোমাকে বলার মত আর কিছু নেই।


চিরসুখে থেকো তুমি সুখ বুকে নিয়ে,
পরপারে যাচ্ছি চলে কাঁদে এই হিয়ে।
হবে না হবে না আর কোনদিন দেখা,
এক বুক জ্বালা নিয়ে যাই চলে একা।


তিন দিন তিন রাত নাই খাওয়া দাওয়া,
হাসিমাখা মুখ তবু মলিনেতে চাওয়া।
বাজারে জিলাপি আর কিছু কিনে আনি,
দরজায় ডুকিতেই আসে চোখে পানি।


রাঁধিছে জননী মোর হাসিমাখা মুখ,
বিকেলের এই বেলা নাই মনে সুখ।
শুকনো মুখের হাসি আঁখি টলমল,
আমি বিনে ভাসিবে মা সাগরের জল।


বুধবার দিন গত মাগরিব ক্ষণ,
বুক ভাসে আঁখিজলে কাঁদে দু'নয়ন।
নামাজের পর রাতে শরবত পান,
বিদায়ের এই বেলা মরণের ঘ্রাণ।


গড়াগড়ি আহাজারি মায়ের কাঁদন,
চিরতরে ছিন্ন হবে স্নেহের বাঁধন।
প্রতিবেশি লোকজন বাড়ি ভরপুর,
নিয়ে যায় মেডিকেল মাথা ঘুর ঘুর।


নামাজের হালে মায়ে সিজদাহ্ রত,
ওগো প্রভু চাও ফিরে কাঁদি অবিরত।
আঁচল পাতিয়া আছি হে মালিক রব !
এ বুকের ধন দাও নাও তুমি সব।


কী আছে আমার বলো খোকা বিনে আজ,
কোন অপরাধে পড়ে মোর শিরে বাজ ?
মায়ের দোয়াটা শেষে হলো যে গ্রহণ,
জ্ঞান ফিরে প্রাণ পেলো আবার  জীবন।


স্মৃতি গুলো নাড়া দেয় ঝরে চোখে নীর,
হয়নি তো বাঁধা কভু সুখের সে নীড়।
ভালোবাসা পাপ নয় তবু পাপী আমি,
বিরহের জ্বালা নিয়ে কাটে দিবা যামী।