নারীর প্রতিবাদ বা প্রতিবাদী নারী
ইব্রাহিম হোসেন
কষ্টকে জয় করে স্নিগ্ধ পরশ দিয়ে
টিকে থাকে ঘরে নারী স্নিগ্ধতা নিয়ে,
কভু বহিঃপ্রকাশ বন্নি শিখার আভাস
সংসার গড়ে তুলে ভালোবাসা দিয়ে।
অবহেলা,অপবাদ,টিটকারি,গঞ্জনা
চলতে পথে হয় কত লাঞ্ছনা !
তবুও নয় ক্ষান্ত, চলার নেই অন্ত
ব্যথা নিয়ে নিজেকে শান্ত্বনা।
কখনো সে পথে বনে একাকীত্ব নির্জনে
বখাটে ছেলের হাতে এসে পড়ে ধরা,
অশ্লীলতার বাণী দেয় তারে হাত ছানি
লজ্জায় নীল হয় কোন মতে খাড়া।
একদিন বলি আমি শোন তার কাহিনী
স্বামী হারা এক নারী পথও ভিখারি ,
রাস্তায় চলে একা পায় না কারো দেখা
সতীত্ব নিয়ে তার করে কাড়া কাড়ি।
লম্পট ছেলে ছিল সুযোগে তাকে পেল
শাড়ীর আঁচল ধরে দিল তারে টান,
চিৎ হয় সেই নারী রাস্তার মাঝে পড়ি
উঠেই চড় ছাপ্পড় দিল তার ধরে কান।
বলে তোর নাই ঝি, মা বোন নাই কি ?
থাকে যদি ঘরে তোর প্রিয়তমা বউ .,
কেউ যদি ধরে তাকে বুকে টেনে নেয় চেপে
করবি নাকি তুই কভু ঘেউ ঘেউ ?
শোন রে জালিম ছেলে অবলা নারী ভেবে
করিস না কখনো জীবনে এ ভুল
নইলে খাবি ধরা পাবিনা কভু ছাড়া
দিতেই হবে তোকে ভুলেরই মাশুল।
নারী নয় অবলা দেখবি নারীর খেলা
নারী কূলে জেগে উঠে প্রতিবাদী আহ্বান,
পারবিনা শয়তান কাড়তে নারীর মান
তছ নছ হয়ে যাবি হবি বলিদান।
হুঁশিয়ার সাবধান এ যুগের পোলাপান
নারীদের মনে প্রাণে কর সম্মান ,
নারীই তোমার মা, নারীই তোমার বোন
নারীই ঘরের বউ, নারীই মেহমান ।
(নারী প্রতিবাদী একটি কবিতা)