পল্লীর বৈচিত্র্য
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন


ফজর হলে মুয়াজ্জিনে
মিনার হতে ডাকে,
ঘুমের থেকে নামাজ ভালো
আযান সুরে হাঁকে।


নামাজ পড়তে যায় মুসল্লী
মসজিদেতে আগে,
প্রভুর ধ্যানে মশগুল হয়ে
নামাজ অনু'রাগে।


পাখির ডাকে প্রভাত হাসে
সূর্য মামা জাগে,
কোকিল গাহে গাছের ডালে
পুষ্প ফোটে বাগে।


প্রজাপতি ফুলে বসে
অলিরা গান ধরে,
ভ্রমর ছুটে মধুর খোঁজে
মৌচাক বানার তরে।


শিশির জমে ঘাসের ডগায়
কৃষকে যায় মাঠে,
পল্লী গাঁয়ের খোকা খুকি
মনোযোগ দেয় পাঠে।


গাঁয়ের মেঠো পথের দু'ধার
শস্য ক্ষেতে ভরা,
বটতলাতে বিশ্রামে সব
যখন প্রবল খরা।


রাখাল ছেলে গান গেয়ে যায়
রাখালিয়া সুরে,
অবাক চোখে চেয়ে দেখে
পথের পথিক দূরে।


ধন ও ধান্যে ভরপুর আমার
গ্রামটি সবার সেরা,
রূপের রানী পল্লী এ যে
রূপ লাবণ্যে ঘেরা।


পাশেই চলে স্রোতধারা নদ
অথৈ নদীর পানি,
আমার গ্রামের পদ্মা নদে
ইলিশ মাছের রানী।


পল্লী মায়ের কোলেই সবার
জীবন বাঁচন মরণ,
পল্লী প্রেমে মুগ্ধ ভুবন
পল্লী করি স্মরণ।