রিকশাওয়ালা
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন


রিকশাওয়ালা রিকশা চালায় পায়ে প্যাডেল করে,
পরিশ্রমের চোটে গায়ের ঘাম ঝরে যে পড়ে।
পায় না একটু ভালোবাসা,পায়না ভালো কথা,
অবহেলা গঞ্জনাতে কষ্টে ভরা ব্যথা।


খালি ছাড়া পায় না কারো মুখের ভালো ভাষা,
তবুও বেঁচে থাকার আছে একটুখানি আশা।
রিকশা চালায় ঘাম ঝরে যায় স্বপ্ন চোখে আঁকে,
বাড়ির দ্বারে দাঁড়িয়ে আছে বৌটি অপেক্ষাতে।


স্বামী আমার আসবে কখন? চাউল,ডাউল নিয়ে,
আর সহেনা খোকা-খুকির কান্না পেটের দায়ে।
যাত্রী বলে ধমক মেরে চল্ না খালি চল রে,
কত টাকা ভাড়া নিবে জলদি করে বল রে?


রিকশাওয়ালা বলে তারে কোথায় যাবেন স্যা'র?
ন্যায্য ভাড়া দিলেই খুশি চাই না বেশি আ'র।
যাত্রী বসে রিকশা 'পরে রিকশা চালায় চালক,
ক্লান্ত দেহে,কষ্ট সহে, অশ্রুসিক্ত পলক।


যাত্রী বলে মামুর বেটা একটু জোরে টান না,
সময় আমার যাচ্ছে বয়ে শুনতে হবে গান না।
জোরসে প্যাডেল করতে গিয়ে ভাঙলো পায়ের প্যাডেল,
চড় ও থাপ্পড় মেরে দিলো যাত্রী তাকে ম্যাডেল।


যাত্রী বলে করলি বেটা অশুভ এ যাত্রা,
ক্যামনে আমি পৌঁছাবো হায় নাই শিরে তার মাত্রা?
রিকশাওয়ার করুণ জ্বালা কর জোড়েতে বলে,
দোষ ছিল না আমার তাতে কেঁদে চোখের জলে।


দিনের শেষে সন্ধ্যা বেলায় বাড়ির পানে যাইয়া,
ক্লান্ত দেহে বধুর মুখের একটু হাসি পাইয়া।
দুঃখ ভুলে, কষ্ট ভুলে, প্রাণ খুলে যে হাসে,
দিনের কামাই বধুর হাতে দেয় সে ভালোবেসে।
ভালোবাসার পরশ পেয়ে কষ্টে হাসি পায় রে,
তবুও তাদের মত সুখী ভুবনে কেউ নাই রে।