রক্তাক্ত কারবালা 
ইব্রাহিম হোসেন 
============


ফোরাত নদীর ধারে ছিল কারবালা ময়দান,
যুদ্ধ ঘোষণা দিল ইয়াজিদ নাফারমান।
চার হাজার সৈন্য নিয়ে ইয়াজিদ বাহিনী,
তীর মারে, বর্শা মারে নিঠুর কাহিনী।
তিলে তিলে মারবে বলে ফোরাত নদীর কিনার,
ঘেরাও করে রাখলো নদী পানির হাহাকার।
ইমাম হোসেন বন্দী হলেন ফোরাত নদীর ধারে,
নিঠুর ইয়াজিদ বাহিনী তীর যে ছুড়ে মারে।
দুইশত সৈন্য  নিয়ে হোসেন নিরুউপায়,
পানি পানি বলে তাদের বুকটা ফেটে যায়।
একে একে তৃষ্ণা নিয়ে হোসেন পরিবার,
শহীদ হলেন কারবালাতে কি বলিব আর ?
পানির তরে গেলেন হোসেন ফোরাত নদীর ধার,
একটু পানি হলেই বাঁচে আলী আসগার।
হোসেনকে লক্ষ্য করে তীর মারে যে ছুড়ে ,
তীর গেল সে কোলের শিশুর বক্ষ ভেদ করে।
শহীদ হলেন আলী আসগার দুগ্ধপোষ্য শিশু,
লুটিয়ে পড়ে গেলেন হোসেন শত্রু নিল পিছু।
হন নি ক্ষান্ত ছিলেন ক্লান্ত লড়াই করেন একা,
বর্শা তীরে বিদ্ধ হয়ে রক্তে দেহ মাখা।
অবশেষে মাটির উপর লুটিয়ে পড়েন তিনি,
ঘেরাও করে ফেলল তাঁরে ইয়াজিদ বাহিনী।
সীমার নামের পাপীষ্ঠ ছিন্ন করে শির,
রক্তে রক্তে রক্তাক্ত ফোরাত নদীর তীর।
😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭
======================


(বিশেষ দ্রষ্টব্য :- হযরত ইমাম হাসান ও হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ)  এর প্রিয় দৌহিত্র / নাতী, মা ফাতিমা ও হযরত আলীর কলিজার টুকরা এবং জান্নাতের সকল যুবকদের সর্দার।  


ফোরাত নদীর তীরে, কারবালার প্রান্তরে হযরত হুসাইন (রাঃ) এর পরিবার সহ যারা শহীদ হয়েছেন ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে। আমি তাঁদের সকলের মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাঁদের সকলকে  জান্নাতুল ফিদাউস এর সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদার স্থানে স্থান দান করেন।


আর আমাদের সকলকে যেন সরল, সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করেন এবং সে অনুযায়ী  জীবন গড়ে পরলোক গমন করার তৌফিক দান করেন।
আমিন।)