শরতের রুপ  
ইব্রাহিম হোসেন  


শরৎ হলো ঋতুর রাণী সাজায় জগৎ ভবন,
মন উতলা হয় যে গায়ে লাগলে শরৎ পবন।


ফুল বাগানে শতো শতো ফুল যে কতো ফোটে!  
ফুলের ঘ্রাণে ভ্রমর ব্যাকুল মধু নিতে জোটে।


মাঠে মাঠে শ্রমিক-কৃষাণ মত্ত থাকে কাজে,
সোনার ফসল ফলায় ক্ষেতে শরৎ ঋতুর সাজে।


ভরা নদীর শুকায় পানি অল্প পানি থাকে,
ডিঙ্গি নৌকায় মাছ ধরে যায় জেলেরা নদীর বাঁকে।


সাদা কালো মেঘে থাকে আকাশ সদাই ঢাকা,
একটু পরে মেঘ থাকে না হয় যে আকাশ ফাঁকা।


গুড়ুম গুড়ুম মেঘ ডেকে যায় মন কাঁপে যে ডরে,
বিজলী ডাকার আওয়াজ শুনে যাই ছুটে যাই ঘরে।


রাতের বেলায় শিউলি ফোটে মন মাতানো ঘ্রাণে,
টগর বেলি শাপলা জবা দেয় যে দোলা প্রাণে।


হাসনাহেনা জুঁই চামেলী দেখতে ভালো লাগে,  
ছোট্ট খোকা ছোট্ট খুকি যায় ছুটে যায় বাগে।


শরৎ প্রভাত রঙ্গের মেলা শিশির দূর্বা ঘাসে,
ভোরের পাখি মিষ্টি মধুর গানের সুরে হাসে।


আরও বসে হাজার শতো কীট পতঙ্গের মেলা,
তিড়িং বিড়িং ফড়িং নাচে করে কতো খেলা !


শরৎকালে ভাসে মনে সুখ নদীরই ভেলা,
নীল গগনে মেঘের ফাঁকে চন্দ্র তারার মেলা।


শরৎ ছোঁয়ায় প্রাণ ফিরে পায় বৃক্ষ তরুলতা,
রূপে সাজে বাংলাদেশের শস্য শ্যামলতা।
======================